সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুরুষ বন্ধুর সামনে থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ। ছয় অভিযুক্তের মধ্যে দু’জন নাবালকও ছিল। মধ্যপ্রদেশের রেয়ার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার ৩ অভিযুক্ত। বাকিদের খোঁজে চলছে জোর তল্লাশি। ধৃতদের বাড়ির অবৈধ নির্মাণ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়েও দেয় প্রশাসন।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত শনিবার মন্দিরে যাওয়ার জন্য বেরোয় কিশোরী। সঙ্গে ছিল তার পুরুষ বন্ধু। পুজো দেওয়ার পর মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিল দু’জনে। সেই সময় দুই নাবালক-সহ ছ’জন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কিশোরীকে পুরুষ বন্ধুর সামনে থেকে টেনে নিয়ে যায়। অভিযোগ, পুরুষ বন্ধুর সামনেই ওই কিশোরীকে গণধর্ষণও করে তাঁরা। এখানেই শেষ নয়। গণধর্ষণের পর কিশোরীকে মারধরও করে অভিযুক্তরা। কেড়ে নেওয়া হয় তাঁর মোবাইল এবং নূপুর। জানাজানি হলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ছাড়ে অভিযুক্তরা।
[আরও পড়ুন: ‘মৃতপ্রায় মানুষকে বাঁচানোর জন্য টাকা দিয়ে কী ভুল করেছি?’, অনুব্রতকে সমর্থন ব্যবসায়ী রাজীবের]
গণধর্ষণের পর কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপরই ঘটনাস্থলে ছুটে আসা নইঘাড়ি থানার পুলিশ। কিশোরীকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিশোরীর অবস্থা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তার। এরপর পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩৭৬(ডি), ৩৯৫, ৫০৬ এবং পকসো ধারায় মামলা রুজু হয়। রেয়া ডিস্ট্রিক্ট হেডকোয়ার্টার থেকে মাত্র ৭০ কিলোমিটার দূরে ঘটা এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। রবিবারই গ্রেপ্তার হয় তিনজনকে। বাকিদের খোঁজে চলছে জোর তল্লাশি।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই তিন অভিযুক্তের বাড়িতে কিছু অবৈধ নির্মাণ ছিল। ওই অবৈধ নির্মাণও বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। সম্প্রতি যোগীরাজ্যে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলার মতো পদক্ষেপ সাড়া ফেলেছিল। তবে মধ্যপ্রদেশেও অভিযুক্তদের বাড়ির অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই হইচই শুরু হয়েছে।