তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: ধর্ষণ করে খুন নাকি অন্য কিছু? শিলিগুড়ির (Siliguri) নকশালবাড়িতে কিশোরীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য। ঘটনায় নাম জড়িয়েছে স্থানীয় এক বিজেপি কর্মীর। যদিও ওই ঘটনার পর থেকে পলাতক বিজেপি কর্মী। খোঁজ মিলছে না তার পরিবারের অন্যান্যদেরও।
নকশালবাড়ির রথখোলার বাসিন্দা ওই কিশোরী। পরিবার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধেয় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে। জানিয়েছিল অন্যান্য দিনের মতোই স্থানীয় চায়ের দোকানে যাচ্ছে সে। তারপর সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হয়ে গেলেও কিশোরীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। রাতের দিকে নকশালবাড়ির রথখোলায় একটি পরিত্যক্ত হোটেলের পিছন দিক থেকে উদ্ধার করা হয় কিশোরীর নিথর দেহ।
[আরও পড়ুন: লক্ষ্য গ্রামীণ অর্থনীতি ও পরিকাঠামোর উন্নয়ন, ৯ দপ্তরের জন্য প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাজ্যের]
পরিবারের অভিযোগ, কিশোরীকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। ওই চা দোকানের মালিক এলাকার সক্রিয় বিজেপি কর্মী। সে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলেই দাবি। ধর্ষণের পর খুন করে দেহ লোপাটের চেষ্টা চালাচ্ছিল বলেই বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে নকশালবাড়ি থানার পুলিশ পরিত্যক্ত হোটেলের সামনে পৌঁছয়। কিশোরীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
এদিকে, উত্তেজিত জনতা ওই বিজেপি কর্মীর বাড়ি ঘেরাও করে। বাড়ি ভাঙচুরেরও চেষ্টা করে তারা। তবে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে ওই বিজেপি কর্মী বেপাত্তা। তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পরিবারের কারও দেখা নেই। কিশোরীকে ধর্ষণের পর খুনের ঘটনায় বিজেপি কর্মীর যোগসাজশ রয়েছে বলেই ওই ব্যক্তি গা ঢাকা দিয়েছে, প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।