সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ থামার নামগন্ধ নেই। যুদ্ধে বাড়ছে ক্ষতির পরিমাণ। রক্ত ঝরছে, হাহাকার চারদিকে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির দাবি, যুদ্ধে প্রতিদিন ৬০ থেকে ১০০ জন ইউক্রেনীয় সেনার মৃত্যু হচ্ছে। দেশের পরিস্থিতি যখন এরকম, তখন খেলার মাঠে নিজেদের হৃদয় উপুড় করে দিলেন ইউক্রেনের ফুটবলাররা।
স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে নামার আগে চর্চিত হচ্ছিল, এই ম্যাচটা কেবল কাতার বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের প্লে অফ ম্যাচ নয়। তার থেকেও বড় ব্যাপার। আবেগে ঝরল মাঠে। বিশেষ করে খেলা শুরুর আগে ইউক্রেনের জাতীয় সংগীত বাজার পরই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন ইউক্রেনের দর্শকরা।
[আরও পড়ুন: কোচ এবং শিক্ষকদের জন্য নতুন App আনছেন সৌরভ! টুইট রহস্য ফাঁস করলেন ‘দাদা’ নিজেই]
হ্যাম্পডেন পার্কে ইউক্রেনের ফুটবলাররা নিজেদের নিংড়ে দিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় ৩-১ গোলে। স্কটল্যান্ডকে হারানোর ফলে কাতার বিশ্বকাপের আরও কাছাকাছি পৌঁছে গেল ইউক্রেন। রবিবার কার্ডিফে ইউক্রেনের সামনে ওয়েলস। তাদের হারাতে পারলেই ইউক্রেন পৌঁছে যাবে কাতার বিশ্বকাপের মূলপর্বে।
প্রতিদিন ইউক্রেনে হানাদারি চালাচ্ছে রুশ সেনা। সেই আগ্রাসনের পর প্রথম বার মাঠে নামে ইউক্রেন। খেলার শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তোলে ইউক্রেন। একের পর এক আক্রমণ আছড়ে পড়ে স্কটল্যান্ডের পেনাল্টি বক্সে। ৩৩ মিনিটে ইউক্রেন প্রথম গোলটি করে। আন্দ্রেই ইয়ারমোলেঙ্কো প্রথম গোলটি করেন। স্কটল্যান্ডের ডিফেন্ডাররা অফসাইডের ফাঁদ পেতেছিলেন। কিন্তু ইয়ারমোলেঙ্কোকে থামানো যায়নি। বিরতির পর ব্যবধান বাড়ায় ইউক্রেন। ৪৯ মিনিটে হেডে গোল করেন ইয়ারেমচুক।
৭৯ মিনিটে ব্যবধান কমায় স্কটল্যান্ড। ক্যালাম ম্যাকগ্রেগর গোল করেন স্কটল্যান্ডের হয়ে। কিন্তু অ্যাডেড টাইমে ডভবিক গোল করে স্কটল্যান্ডের আশা শেষ করে দেন। ম্যাচ জিতে কাতার বিশ্বকাপের আরও কাছে পৌঁছে গেল ইউক্রেন। এই ম্যাচ জয় ইউক্রেনের সৈন্যদের উৎসর্গ করেছেন কোচ ওলেকসান্দার পেত্রাকোভ।