সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হস্টেলে আত্মহত্যার চেষ্টা জুনিয়র ডাক্তারের! অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে তাঁকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএমে। সিসিইউতে শুরু হয় চিকিৎসা। কিন্তু কী ঘটেছিল? কেন আত্মহত্যার চেষ্টা? জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, এসএসকেএম হাসপাতালের মেন বয়েজ হস্টেলে থাকেন ওই জুনিয়র ডাক্তার। শনিবার রাতে নার্ভ ও ঘুমের ওষুধ খান তিনি। এর পরই জ্ঞান হারান। তাঁর রুমমেট বিষয়টি বুঝতে পেরেই তড়িঘড়ি এসএসকেএমের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করেন। রাতেই তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। রবিবার সকালে তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ)-এ স্থানান্তরিত করা হয়। দুপুরের দিকে সংজ্ঞা ফেরে ওই। জানা গিয়েছে, ওই যুবক অন্তত ২০টি ঘুমের ওষুধ খেয়ে নিয়েছিলেন শনিবার রাতে। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে ইতিমধ্যেই ভবানীপুর থানায় জানানো হয়েছে।
কিন্তু কেন এই আত্মহত্যার চেষ্টা? পুলিশ ও ওই জুনিয়র ডাক্তারের রুমমেটদের ধারনা, কয়েকদিন ধরে ব্যক্তিগত সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছিল ওই যুবকের। তাঁর ব্যবহারেও যথেষ্ট পরিবর্তন দেখা যাচ্ছিল। মনে করা হচ্ছে, সেই অবসাদ থেকেই এই ঘটনা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত ওই হাউস স্টাফ বিপন্মুক্ত। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই সম্পর্কের টানাপড়েন সইতে না পেরে দীপ্র ভট্টাচার্য নামে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের এক সিনিয়র রেসিডেন্ট আত্মহত্যা করেন। আত্মহননের আগে তাঁর পোস্ট করা একটি মেসেজে থ্রেট কালচারের প্রসঙ্গ থাকায় বিতর্ক দানা বাঁধে। তার পর এই ঘটনা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।