সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্পত্তি এমন ভয়ংকর লোভ! যে মানুষটার তিন কাল গিয়ে এককালে ঠেকেছে, সেই লোকটা পর্যন্ত সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদে আগুনে পুড়িয়ে মারল নিজের ছেলেকে। শুধু ছেলেই নয়, ছেলের বউ ও দুই স্কুল পড়ুয়া নাতনিকেও নিখুঁত পরিকল্পনায় খুন করল। কেরলের (Kerala) উড্ডুকি জেলায় এই নির্মম ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত সত্তরোর্ধ এক প্রবীণ।
পুলিশ জানিয়েছে, কেরলের উড্ডুকি জেলায় এই ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার ভোরে। ৭৯ বছরের হামিদ রীতিমতো ছক করে খুন করে তাঁর ছেলে, পুত্রবধূ ও নাতনিদের। শেষ রাতে নিঃশব্দে নিজে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেয়। জানলা দিয়ে একাধিক পেট্রল ভরতি বোতল ছুঁড়ে দেয় ঘরের ভেতরে, যে ঘরে ছেলে ও ছেলের পরিবার তখন গভীর ঘুমে। এরপরেই বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় সে। হামিদের ছেলে, পুত্রবধূ, নাতনিরা তখন ঘুমন্ত অবস্থায় থাকায় কোনওরকম প্রতিরোধের সুযোগ পায়নি। জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় চারজনের।
[আরও পড়ুন: স্নানঘরে ঢুকে সহকর্মীর স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা, মামলা রুজু মূল অভিযুক্ত-সহ ৫ সেনাকর্মীর বিরুদ্ধে]
জানা গিয়েছে, প্রতিবেশীরা মরিয়া হয়ে আগুনে আটকে পড়া চারজনকে উদ্ধারের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু আগুন দ্রুত এতটাই ভয়ংকর হয়ে উঠেছিল যে তা সম্ভব হয়নি। এক প্রতিবেশী আগুন লাগানোর আগে হামিদকে ঘরের ভেতরে পেট্রলের বোতল ছুঁড়ে ফেলতে দেখেছেন বলে দাবি করেছেন।
[আরও পড়ুন: যত সমস্যা রাহুলকে নিয়ে! সভাপতির বদলে সোনিয়া-তনয়কে অন্য পদ দিতে চান কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধরা]
স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, একটি জমি নিয়ে ছেলের সঙ্গে বিবাদ চলছিল হামিদের। সেই সূত্রেই সে রীতিমতো পরিকল্পনা করে খুন করে। পাঁচ বোতল পেট্রলের ব্যবস্থা করেছিল আগেভাগে। এমনকী বাড়ির জলের ট্যাঙ্কটিও খালি করে দিয়েছিল, যাতে আগুন নেভানো অসম্ভব হয়। কুয়োর বালতি ও দড়িও গায়েব করে দিয়েছিল। যাতে প্রতিবেশীরা তাঁর ছেলে-বউ-নাতনিদের বাঁচাতে না পারে।