সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেখতে আর পাঁচটা সাধারণ পানের মতোই। বহরে একটু বড় এই যা। আসল নাম কোহিনুর পান। কিন্তু জনপ্রিয় ‘ভায়াগ্রা পান’ নামেই। নাম শুনেই বুঝতে পেরেছেন নিশ্চয়, এই পান যৌনশক্তি বেশ খানিকটা বাড়িয়ে দিতে পারে, জনশ্রুতি অন্তত এমনটাই।
শুধুমাত্র এই পানের জন্যই লোকমুখে বিখ্যাত ‘তারা পান সেন্টার।’ মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদে ৫০ বছরেরও বেশি পুরনো এই দোকানে ৫১ রকমের পান পাওয়া গেলেও, ভিড় জমে এই ভায়াগ্রা পানের জন্যই। তবে এই পানের দাম বেশ চড়া, এক একটির মূল্য ৫০০০ টাকা। চমকে গেলেন? দোকানির কিন্তু দাবি, এই বিশেষ পানের ভিতর যা যা মশলা দেওয়া হয় তার তুলনায় এই দাম সামান্যই। ওই পানে এক বিশেষ সুগন্ধী ব্যবহার করা হয় যা পাওয়া যায় শুধুমাত্র বাংলাতেই।
[যে সাতটি কথা স্ত্রীর মুখ থেকে শুনতে চান পুরুষরা…]
দোকানির দাবি, ভায়াগ্রা পানের ভিতর ‘কস্তুরী’ ব্যবহার করা হয়। এক কিলোগ্রাম কস্তুরির দাম ৭০ লক্ষ টাকা। থাকে কেশরও। যার দাম ৭০ হাজার টাকা প্রতি কিলো। সেই সঙ্গে থাকে ৮০ হাজার টাকা প্রতি কিলোগ্রাম দামের গোলাপ। তবে এই পানের মূল মশলা হল সেই গোপন উপাদানটি, যা নাকি যৌন ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারে কয়েক গুণ। সেই মশলা যে কোথা থেকে আসে, দামই বা কত, জানেন না দোকানের কোনও কর্মী। জানেন শুধুমাত্র দোকানের মালিক মহম্মদ সিদ্দিকি ও তাঁর মা।
সিদ্দিকি বলছেন, ‘এই পান আমার মা আমাকে বিয়ের পর দেন। বলেন, খেয়ে ভাল লাগলে বিক্রি করিস। সেই থেকে আমি এই বিশেষ পান দোকানের মেনুতে যুক্ত করি।’ সেই থেকে লোকমুখে জনপ্রিয় হয়ে যায় এই কোহিনুর পান। এই পানের নাকি এমনই মহিমা যে দোকানে নবদম্পতিদের ভিড় কমেই না। শুধু পুরুষ নয়, মহিলাদের জন্যও রয়েছে যৌনতাবর্ধক শক্তিযুক্ত এক বিশেষ ধরনের পান। তার নাম ‘লেডিজ স্পেশ্যাল কোহিনুর’।
তবে ৫০০০ টাকা দিয়ে পান কেনার ক্ষমতা যে সব মানুষের নেই, সেটা আঁচ করতে পেরেই ওই কোহিনুর পানের একটি সস্তার সংস্করণও রয়েছে। এই পানের প্যাকেজিংও আপনার নজর কাড়বে। একটি সুসজ্জিত নকশা আঁকা ডিজাইনার বাক্সে করে এই পান দেওয়া হয় ক্রেতাদের। বাক্সের ভিতরে পান ছাড়াও থাকে এক ধরনের বিশেষ আতর। তারা পান সেন্টারে প্রতিদিন অন্তত ১০ হাজার পান বিক্রি হয়। যার মধ্যে হামেশাই থাকে এই কোহিনুর পান।
দেখে নিন ভিডিও:
[সিঙ্গল মহিলারা কীভাবে যৌন তৃপ্তি পান, জানুন ৬টি উপায়]
The post ফুলশয্যার রাতে কামাল দেখানো ‘ভায়াগ্রা পান’ কোথায় পাওয়া যাবে, দামই বা কত? appeared first on Sangbad Pratidin.