দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: গত লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই চুঁচুড়া পিপুলপাতির মোড়ে এক প্রৌঢ়ার দোকা্নের সামনের অংশ আটকে গড়ে উঠেছিল বিজেপির (BJP) জন পরিষেবা কেন্দ্র। ফলে ওই মহিলা দীর্ঘ দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে দোকান খুলতে পারছিলেন না। অভিযোগ, সেই দোকান খোলাকে কেন্দ্র করে বিবাদের জেরে প্রৌঢ়াকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় বিজেপি কর্মীরা। ওই প্রৌঢ়া চুঁচুড়া থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন। পুলিশ এসে পরিস্থিতির সামাল দেয়।
মিনতি দত্ত নামে ওই প্রৌঢ়া জানান, তিনি ও তাঁর মায়ের এই দোকানটাই একমাত্র রুজি। লিজে ওই দোকানটি নিয়ে তিনি চালান। কিন্তু গত লোকসভা নির্বাচনের সময় বিজেপি কর্মীরা পিপুলপাতির মোড়ে তাঁর দোকানের সামনের অংশ আটকে পরিষেবা কেন্দ্র খোলে। তিনি বাধা দিলে বিজেপি কর্মীরা বলেন, তারা দোকান মালিকের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছে। এরপর থেকেই তিনি দোকান খুলতে পারছেন না। বিধবা মা ও তাঁর রোজকার খাবার জোটানোই দায় হয়ে পড়েছে। তাই বাধ্য হয়ে শুক্রবার দোকান খুলতে এসে তাঁকে বিজেপি কর্মীদের হাতে হেনস্তার শিকার হতে হয়। তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। বিষয়টি বলার পর পুলিশ তাঁকে দোকান খোলার আশ্বাস দিয়েছে।
[আরও পড়ুন: একদিনে কলকাতায় করোনা আক্রান্ত প্রায় ৭০০, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে উঃ ২৪ পরগনার মৃত্যুর হার]
স্থানীয় বিজেপি নেতা নিমাই দত্তর দাবি, ওই দোকানঘরটি দীর্ঘ দশ বছর ধরে খোলে না। দোকানঘরটি ওই প্রৌঢ়ারও নয়। তিনি ভাড়া নিয়েছেন। নিমাই দত্ত বলেন, “আসল দোকান মালিকের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিয়ে দোকানের সামনে এই পরিষেবা কেন্দ্র খোলা হয়।” তাঁর অভিযোগ, দলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করেন বলে তৃণমূলের নেতারা প্রৌঢ়াকে ফুঁসলে দোকান খুলতে বলেছে। হুগলি চুঁচুড়া পৌরসভার পৌর প্রশাসক গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় জানান, পিপুলপাতি মোড়ে মেন রোডে বিজেপির ছেলেরা কাঠামো তৈরি করে যাতায়াতের পথ আটকে একটা বেআইনিভাবে অফিস করেছে। পুরসভা থেকে বারে বারে নোটিস দেওয়া সত্ত্বেও তারা কর্ণপাত করেনি। পুরসভার পক্ষ থেকে আইনমাফিক যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা নেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: রক্তে লেখা পোস্টার তৃণমূলের, মিছিলে বামপন্থীরা, কৃষক বিক্ষোভে একতার ছবি বঙ্গে]
The post অবৈধ নির্মাণের প্রতিবাদ করে দোকান খুলতে যাওয়ার মাসুল, প্রৌঢ়ার উপর ‘হামলা’ বিজেপির appeared first on Sangbad Pratidin.