দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: আইনজীবীকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বারুইপুরে। ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও এখনও হদিশ মেলেনি নিখোঁজ বৃদ্ধের। তাঁর খোঁজে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। আতঙ্কে ঘুম উড়েছে পরিবারের।
রামগোপালপুরের শিব সুতির বাসিন্দা ক্ষীরোদগোপাল সর্দার নামে ওই আইনজীবী। বছর ৭২-এর এই আইনজীবী দীর্ঘদিন ধরে বারুইপুর মহকুমা আদালতের সঙ্গে যুক্ত। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালেও বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সন্ধে হয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেননি। ফোন করা হলে অজ্ঞাত পরিচয় একজন ফোন রিসিভ করে জানান, শিগগিরি ক্ষীরোদবাবু বাড়ি ফিরবেন। এরপরই ফোনটি অফ হয়ে যায়। বাড়ির লোক চিন্তিত হয়ে বারবার ফোন করতে থাকেন। রাত ১১ টা নাগাদ ক্ষীরোদবাবুর ছোট ছেলে বাসুদেব সর্দার ফোন করলে রিং হয়। আবার এক অপরিচিত ব্যক্তির কণ্ঠ, তিনি জানান ক্ষীরোদ বাবু তাঁর প্রচুর টাকার ক্ষতি করেছে। তাই ১৬ লক্ষ টাকা পেলে তবেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে। বাইরের কাউকে কিংবা পুলিশে খবর দিলে ক্ষতি হয়ে যাবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। এরপরে আতঙ্কিত পরিবার বারুইপুর থানায় অভিযোগ করেন। সকাল হতেই এসডিপিও বারুইপুর অভিষেক মজুমদার ও বারুইপুর থানার আইসি দেব কুমার রায় তদন্ত শুরু করেন। মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করতে শুরু করে বারুইপুর পুলিশ জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ।
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপি আশ্রয় না দিলে তৃণমূল পার্টিটাই থাকত না’, দলবদলের পর প্রথম সভা থেকেই তোপ শুভেন্দুর]
জানা গিয়েছে, বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন পাওয়া যায়। কিন্তু মোবাইল সুইচড অফ থাকায় কোনওভাবে তদন্ত এগোয়নি। পরিবারের লোকজন আশঙ্কায় রয়েছেন। তাঁদের একটাই আবেদন, যে কোনও মূল্যে যেন ক্ষীরোদবাবুকে সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে দেয় বারুইপুর থানার পুলিশ। পাশাপাশি দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন ক্ষীরোদবাবুর পরিবার। পেশায় আইনজীবী ক্ষীরোদ বাবুর কারও সঙ্গে কোনও শত্রুতা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে বারুইপুর থানার পুলিশ।