সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে (Rabindranath Tagore) ফেসবুকে কটুক্তির জের। বাংলাদেশের সংগীত শিল্পী মইনুল আহসান নোবেলকে আইনি নোটিস পাঠালেন চট্টগ্রামের আইনজীবী। সাত দিনের মধ্যে নোবেলকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।
বরাবরই বিতর্কে থাকতে ভালবাসেন বাংলাদেশের সংগীত শিল্পী মইনুল আহসান নোবেল। সম্প্রতি ফেসবুকে তিনি লিখেছিলেন, “রবীন্দ্রনাথ এদেশের কবিদের মূল্যায়ন করে যাই নাই তারে নিয়ে যে এদেশে চর্চা হয় এটাই রবীন্দ্রনাথের জন্য বেশি। তাছাড়া বাংলাদেশের সাহিত্যে যেহেতু রবীন্দ্রনাথের অবদান নিতান্তই কম, নেই বললেই চলে, সেক্ষেত্রে তার গান এদেশের কেউ যদি প্যারোডি আকারে গায় সেটা রবীন্দ্রনাথের জন্যই মঙ্গলজনক।” তা নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়।
[আরও পড়ুন: বোলপুরে ৫০ বিঘা জমিতে অনুব্রত মণ্ডলের খামারবাড়ি! বিস্ফোরক দাবি কেয়ারটেকারে পরিবারের]
এরপর গত বুধবার নোবেল ফেসবুকে আরও লেখেন, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং তাঁর রাবীন্দ্রিক সাহিত্যচর্চা অবিলম্বে বাংলাদেশ থেকে বয়কট করা হউক। আমাদের জাতীয় কবি নজরুল! বিদ্রোহী কবি; যখন আমাদের অধিকার আদায়ে সক্রিয় ছিলেন। রোজ রোজ ব্রিটিশদের কাছে কারাবন্দি হতেন। কনডেম সেলে টর্চারের শিকার হচ্ছিলেন। তখন ব্রিটিশদের চাটুকারিতা করে সো-কল্ড বিশ্বকবি বিন্দাস আমাদের বাপ-দাদার রক্ত চুষে খাচ্ছিল।” নোবেলের ফেসবুক পোস্ট নিমেষেই ভাইরাল হয়ে যায়। বাংলাদেশের সংগীতশিল্পীর সমালোচনায় সরব হন বেশিরভাগ নেটিজেন। রিয়্যালিটি শো’য় রবীন্দ্র সংগীত গাওয়ার পরেও রবীন্দ্রনাথকে বয়কটের ডাক দেওয়া ভেকধারীর মতো আচরণ বলেও দাবি করছেন অনেকেই।
সেই পোস্টের জেরেই এবার আইনি জটে নোবেল। নোটিসে বলা হয়েছে, ১০ ও ১১ আগস্ট নোবেল ম্যান পেজ থেকে রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কিত দুটি পোস্টে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করা হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে বিদ্বেষমূলক পোস্টগুলো ডিলিট করতে হবে। ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে হবে নোবেলকে। অন্যথায় তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।