নব্যেন্দু হাজরা: সমস্ত সোনার গয়নায় (Gold Jwellery) হলমার্ক চালু হলে ছোট বা ক্ষুদ্র স্বর্ণশিল্পীরা সমস্যায় পড়বেন। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে এবার চিঠি দিল অখিল ভারতীয় স্বর্ণকার সংঘ। কেন্দ্রীয় শিল্প-বাণিজ্য রেল ও ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী পীযুষ গোয়েলকে (Piyush Goyal) শনিবার এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। একটি মামলার পরপ্রেক্ষিতে বিষয়টি ইতিমধ্যে বোম্বে হাইকোর্টের বিচারাধীন রয়েছে।
সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, গোটা দেশে (India) মাত্র ৩৪ শতাংশ জেলাতে এই হলমার্কিং সেন্টার রয়েছে। যেখান থেকে ব্যবসায়ীদের হলমার্কের (Hallmark) রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। গ্রামের দোকানদাররা কীভাবে সেই সেন্টারে পৌঁছাবেন? এইনিয়ম যদি চালু হয় তবে সমস্যায় পড়বেন ছোট ব্যবসায়ীরা। তাছাড়া হলমার্কের রেজিস্ট্রেশন করতে সাড়ে বারো হাজার টাকা খরচ হয় এখন। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর এই টাকা খরচ করে ব্যবসায়ীদের রেজিস্ট্রেশন রিনিউ করতে হবে। কোথা থেকে ছোট ব্যবসায়ীরা এই টাকা পাবেন! যেখানে ৪০ লক্ষ টাকার ওপর যাদের বাৎসরিক টার্নওভার তাদের জিএসটির আওতায় আনা হয় সেখানে ছোট ব্যবসায়ীদের ওপর হলমার্কের বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার মানে কী! প্রত্যেক গয়নায় হলমার্ক স্ট্যাম্প পিছু ৩৫ টাকা খরচ। সেই স্ট্যাম্প মারতে ব্যবসায়ীদের ছুটতে হবে হলমার্ক সেন্টারে। ফলে খরচ বাড়বে। যা তুলতে তার বোঝা চাপতে পারে ক্রেতার উপর।
[আরও পড়ুন:করোনা আবহে রাজা রামমোহন মিউজিয়াম থেকে চুরি দুষ্প্রাপ্য সামগ্রী, গ্রেপ্তার ১]
ব্যবসায়ীদের দাবি, হলমার্ক সোনা বিক্রির যাবতীয় রেকর্ড রাখতে হবে ল্যাপটপে। যা গ্রাম, মফস্বলের সব ব্যবসায়ীদের পক্ষে রাখা সম্ভব নয়। অধিকাংশই তার ব্যবহার জানেন না। সেক্ষেত্রে সমস্যা বাড়বে। তাই এই সিদ্ধান্ত বিবেচনার দাবি জানানো হয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি নয়া নিয়মে ক্ষুদ্র ও মাঝাড়ি সোনার ব্যবসায়ীরা খুব সমস্যায় পড়বেন। তারা এত নিয়ম কানুন মানতে পারবেন না। অখিল ভারতীয় স্বর্ণকার সংঘের সাধারণ সম্পাদক টগরচন্দ্র পোদ্দার বলেন, “ছোট ব্যবসায়ীরা এই হলমার্ক রেজিস্ট্রেশন করার জন্য এতো টাকা পাবেন কোথায়! আর গোটা দেশে অধিকাংশ জায়গাতেই এই সেন্টার নেই। ফলে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা উচিত।” উল্লেখ্য, গতবছর সোনায় হলকমার্ক বাধ্যতামূলক করেছিল সরকার।