বিপ্লবচন্দ্র দত্ত ও ধীমান রায়: পাশ করতে না পেরে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর থানার ফুলিয়ার নবলার প্রফুল্লনগর গ্রামের পাশের রেললাইনে।
মৃত ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর নাম মেঘা সরকার। বছর ষোলর কিশোরী প্রফুল্লনগর গ্রামের বাসিন্দা। ফুলিয়া বিদ্যামন্দির হাইস্কুলের ছাত্রী সে। বাড়িতে তার মা ও দাদা রয়েছে। বছর দুয়েক আগে তার বাবাও ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন।দাদা বর্তমানে রংয়ের কাজ করে সংসার চালাতেন। শুক্রবার সকালে মেঘা তার রেজাল্ট জানতে পারে। সে জেনে গিয়েছিল,পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি। যদিও সে কথা বাড়িতে বলেনি। স্কুল থেকে রেজাল্ট আনতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরোয় মেঘা। বাড়ির কাছেই রেললাইন। ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেয় সে। মুহূর্তের মধ্যেই সেই খবর পৌঁছয় ছাত্রীর বাড়িতে। তড়িঘড়ি মেঘার বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তবে ততক্ষণে সব শেষ।
[আরও পড়ুন: ‘কেকে’র অনুষ্ঠানে ভিড় বেশি থাকলেও এসি কাজ করেছিল’, জানালেন পুলিশ কমিশনার]
এরপর রানাঘাট রেলপুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেঘার দেহ উদ্ধার করে। মেঘার কাকা শ্যামদেব সরকার জানিয়েছেন, “সকালে মেঘা তার পরীক্ষার ফল জেনে গিয়েছিল। স্কুলে রেজাল্ট আনতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরোয়। ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেয়। আমরা এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।”
এদিকে, মাধ্যমিকের রেজাল্ট নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল আরেক পরীক্ষার্থীর। পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের ঘটনা। মৃতের নাম কাজি ইমানুল ইসলাম ওরফে খোকন। মঙ্গলকোটের মোষগড়িয়া গ্রামে তার বাড়ি। কাশেমনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল সে। এক পরিচিত যুবকের সঙ্গে বাইকে চড়ে স্কুলে গিয়েছিল সে। ফেরার সময় বাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারের গাছে ধাক্কা মারে। দু’জনকে উদ্ধার করে মঙ্গলকোট ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে মৃত বলে জানান।