অর্ণব দাস, বারাসত: বাইক চালিয়ে পরীক্ষা দিয়ে ফেরার সময় দুর্ঘটনা। গতির বলি মাদ্রাসা বোর্ডের আলিম পরীক্ষার্থী। গুরুতর জখম হলেন বাইক আরোহী আরও এক পরীক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার বিকেলে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে উত্তর ২৪ পরগনার শাসন থানার গোলাবাড়ির পেট্রল পাম্প সংলগ্ন টাকি রোডে। কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম ইরফান আলি(১৫)। আহত ছাত্র আমিরুল ইসলাম(১৫)। দেগঙ্গা ব্লকের আমুলিয়া পঞ্চায়েতের বাওরআটি গ্রামে বাসিন্দা ইরফান আলি। শাসনের আমিনপুর সিনিয়ার মাদ্রাসার ছাত্র সে। নুরনগর পঞ্চায়েতের বেনাপুর গ্রামের বাসিন্দা তার বন্ধু আমিরুল ইসলামও একই স্কুলের ছাত্র। দু’জনই এবছর মাদ্রাসা বোর্ডের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তাঁদের পরীক্ষার সিট পড়েছিল কদম্বগাছির উলা কালসারা হাই মাদ্রাসায়। এদিন ইতিহাস পরীক্ষা শেষে বাইক চালিয়েই টাকি রোড ধরে বাড়িতে ফিরছিল ইরফান। বাইকের পিছনের আসনে ছিল বন্ধু আমিরুল। গোলাবাড়ি পেট্রল পাম্প সংলগ্ন টাকি রোডে আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি ইঞ্জিন ভ্যানে সঙ্গে ধাক্কা মারে বাইকটি। রাস্তায় ছিটকে পড়ে দু’জনেই। আহত হন ভ্যানচালকও। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনজনকেই স্থানীয়রা উদ্ধার করে নিয়ে যায় টাকি রোড সংলগ্ন কদম্বগাছির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে।
[আরও পড়ুন: ২০২০’র প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ারও তদন্ত করবে CBI-ED, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের]
সেখানেই চিকিৎসক ইরফানকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকি দুজন ওই নার্সিংহোমেই চিকিৎসাধীন আছেন। খবর পেয়ে নার্সিংহোমে যান দুই পরিক্ষার্থীর পরিবার আত্মীয়রা। আসেন মাদ্রাসা বোর্ডের সদস্য একেএম ফারহাদ। তিনি বলেন, “খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এর আগের পরীক্ষাতেই দুই ছাত্রের পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে ওদের সঙ্গে কথা বলেছি। মৃত এবং আহত দু’জনের পরিবারের পাশে আমরা আছি।” মৃত ছাত্রের আত্মীয় আশিক বিল্লা মণ্ডল বলেন, “ফোনে দুর্ঘটনার খবর পেয়েই হাসপাতালে এসে দেখি ইরফান আর নেই।।” মৃত ছাত্র নাবালক। অর্থাৎ তার লাইসেন্স নেই। তা সত্ত্বেও কেন সে বাইক চালিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অনেকে।