সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মালদহের (Maldah) চাঁচলে কালিয়াচক কাণ্ডের ছায়া। তবে এবার আর বাবা, মা, দিদি এবং দিদা নয় পরিবর্তে স্ত্রীর দেহ লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। বাড়ির পাশে একটি গর্ত থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। সন্দেহ যাতে না হয় তাই থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করে স্বামী। তবে দুর্গন্ধ বেরতেই ঘটনার পর্দাফাঁস। গ্রেপ্তার ‘নির্বিকার’ স্বামী।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত মহম্মদ আলি চাঁচলের স্বরূপগঞ্জের বাসিন্দা মহম্মদ আলির সঙ্গে বেশ কয়েক বছর আগে কালো বিবির বিয়ে হয়। প্রতিবেশীদের দাবি, বছর বত্রিশের কালো বিবি সকলের সঙ্গেই মিশতেন। কথাবার্তা বলতেন। তবে সপ্তাহখানেক ধরে দেখা যাচ্ছিল না তাঁকে। স্বামী মহম্মদ আলি জানায় স্ত্রী (Wife) নিখোঁজ। তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই মর্মে থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করে সে। তবে মঙ্গলবার দুর্গন্ধে ভরে যায় গোটা এলাকা। খবর দেওয়া হয় পুলিশ। চাঁচল থানার পুলিশ মহম্মদ আলির বাড়িতে তল্লাশি চালায়। তাতেই বাড়ির পাশের একটি গর্ত থেকে কালো বিবির দেহ উদ্ধার হয়। প্রতিবেশীদের দাবি, দাম্পত্য সম্পর্কে অবনতি হওয়ায় স্ত্রীকে খুন করেছে মহম্মদ আলি। তবে ঠিক কী কারণে দাম্পত্য সম্পর্কে ফাটল ধরেছিল তাদের, তা জানা যায়নি।
[আরও পড়ুন: ভরসন্ধেয় ভাটপাড়া পুরসভা চত্বরে তাণ্ডব দুষ্কৃতীদের, চলল ‘গুলি’]
ধৃত মহম্মদ আলির আচরণে অবশ্য খানিকটা স্তম্ভিত পুলিশ ও প্রতিবেশীরা। স্ত্রীকে ‘খুন’ (Murder) করার পরেও কোনও অনুশোচনা নেই তার। বেশ নির্বিকার মহম্মদ আলি। স্ত্রীকে পুঁতে ফেলার পরেও বাড়িতেই সে সপ্তাহখানেক বসবাস করে। নিজে রান্নাবান্না করে খাওয়াদাওয়া করে। আবার অপরাধ লুকোতে নিখোঁজ ডায়েরিও করে। বেশ পরিকল্পনা করেই সে স্ত্রীকে খুন করেছে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। এই হত্যার পিছনে ঠিক কী কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পারিবারিক বিবাদ নাকি সম্পর্ক নিয়ে টানাপোড়েনের জেরে খুন হতে হল কালো বিবিকে, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।