বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: তৃতীয় পক্ষের স্ত্রীকে খুন। নির্মীয়মাণ শৌচালয়ে দেহ মাটি চাপা দিয়ে ঢালাই করে দেওয়ার অভিযোগ। নেশার ঘোরে খুনের কথা স্বীকার করে পলাতক অভিযুক্ত স্বামী। এমনই নৃশংস ঘটনার সাক্ষী নদিয়ার (Nadia) ধানতলা থানার শংকরপুর ত্রিনাথতলা। অভিযুক্তের খোঁজে চলছে জোর তল্লাশি।
নদিয়ার ধানতলা থানার শংকরপুর ত্রিনাথতলার বাসিন্দা বছর চল্লিশের রবীন্দ্রনাথ রায়। অভিযোগ, মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে রবীন্দ্রনাথের প্রথম এবং দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। বৃদ্ধ বাবা এবং বছর তেরোর পুত্রসন্তানকে নিয়ে বাস করত রবীন্দ্রনাথ। টোটো চালিয়ে অর্থ উপার্জন করত সে। মাসচারেক আগে ফের বিয়ের পরিকল্পনা করে। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের বাসিন্দা মাম্পি চক্রবর্তীর সঙ্গে বিয়েও হয় তার। দিব্যি চলছিল নতুন সংসার।
[আরও পড়ুন: বোমা বাঁধার সময় তীব্র বিস্ফোরণে মৃত ৭, গুঁড়িয়ে গেল একের পর এক বাড়ি]
প্রতিবেশীদের দাবি, ইদানীং দু’জনের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় নিজের বাইক বিক্রি করে দেয় রবীন্দ্রনাথ। ওই টাকা দিয়েই বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে মদের আসরে যোগ দেয় সে। নেশার ঘোরে বন্ধুবান্ধবদের জানায় নিজের স্ত্রীকে খুন করেছে সে। গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে এ কাণ্ড ঘটায় রবীন্দ্রনাথ। মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে মাম্পিকে খুন করেছে বলেই স্বীকার করে নেয় সে। প্রমাণ লুকোতে দেহ লোপাটের কথাও জানায়। একথা জানিয়ে এলাকা ছাড়ে রবীন্দ্রনাথ।
এদিকে, রবীন্দ্রনাথের বন্ধুবান্ধবদের মাধ্যমে স্ত্রীকে খুনের কথা গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। গোটা বিষয়টি ধানতলা থানায় জানানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কংক্রিটের ঢালাই ভেঙে রবীন্দ্রনাথের বাড়ির নির্মীয়মাণ শৌচালয়ের মাটি খোঁড়া হয়। উদ্ধার করা হয় মাম্পির দেহ। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পলাতক রবীন্দ্রনাথ। তার খোঁজে শুরু তল্লাশি। মাম্পিকে খুনের বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের বাবা এবং কিশোর ছেলে কিছুই জানতেন না বলেই দাবি। কী কারণে মাম্পিকে খুন করল সে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।