শংকর কুমার রায়, রায়গঞ্জ: দীর্ঘদিনের সম্পর্ক দেওর এবং বউদির। কিন্তু পরিবারের লোক সেই সম্পর্ক কিছুতেই মানতে রাজি হননি। আর তাই শেষপর্যন্ত বাড়ির সামনেই একটি আমগাছে একসঙ্গে আত্মহত্যা করলেন দু’জনে। উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) হেমতাবাদের ঘটনা। শুক্রবার সকালে ওই যুগলের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান প্রতিবেশিরা। আর এরপরই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা গ্রামে।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের সীমান্ত এলাকার বিষ্ণুপুর পঞ্চায়েতের শীতলপুরের। মৃত মহিলার নাম মুনুমন দাস মাইতি। বয়স ২৯ বছর। অন্যদিকে, মৃত যুবক বিশ্বজিৎ দাস (২৫) সম্পর্কে তাঁর দেওর। পরিবার সূত্রে খবর, বেশ কয়েকবছর আগে দাস পরিবারের বড় ছেলে বাপ্পা ওরফ দীপক দাসের বিয়ে হয়। দু’জনের আট বছরের একটি মেয়ে এবং তিন বছরের এক ছেলে রয়েছে। এদিকে, কর্মসূত্রে বাপ্পা বহুদিন ধরেই কেরলে রয়েছে। আর সেই সুযোগেই দেওর-বউদির মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হতেই আপত্তি তোলে বাড়ির লোক। দীর্ঘদিন এই নিয়ে অশান্তিও হয়। দিনচারেক আগেও নাকি দেওর-বউদির এই অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে দাস পরিবারে খুবই অশান্তি হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: দীর্ঘদিন পায়ে বাঁধা লোহার শিকল, বনদপ্তরের উদ্যোগে অবশেষে মুক্তির স্বাদ পেল বুনো হাতি]
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেবেলা মুনমুন এবং বিশ্বজিৎ বাইরে বেরিয়েছিলেন। এরপর রাতে বাড়ি ফিরে ফের তাঁরা বেরিয়ে যান। পরবর্তীতে সকালবেলা বাড়ির অদূরেই আমগাছে তাঁদের দু’জনের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান প্রতিবেশিরা। এরপরই তড়িঘড়ি পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। কিছু পরেই ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় থানার পুলিশ আধিকারিকরা। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে রায়গঞ্জ মেজিক্যাল কলেজের মর্গে। সেখানেই মৃতদেহ দুটির ময়নাতদন্ত হবে। তখনই মৃত্যুর আসল কারণও সামনে আসবে। তবে প্রাথমিক সন্দেহে পুলিশের অনুমান, বাড়ির অশান্তির কারণেই আত্মহত্যা করেছেন মুনমুন এবং বিশ্বজিৎ। এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই গোটা এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ বিশ্বজিতের মা-বাবাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।