অর্ণব আইচ ও নিরুফা খাতুন: খাস কলকাতায় মা ও ছেলের রহস্যমৃত্যু। উল্টোডাঙার বাড়ি থেকে উদ্ধার দুজনের ঝুলন্ত দেহ। ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি চিরকুট। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃত্যুর কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। তবে প্রাথমিকভাবে অনুমান, দেনার দায়ে মা ও ছেলে আত্মঘাতী হয়েছেন।
জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম মহুয়া মাল (৫৬) ও সোমনাথ মাল (২৬)। উল্টোডাঙার ২৩৪/৩সি এপিসি রোডে তিনতলা বাড়ি তাঁদের। নিচে ছিল লেদের কারখানা। ১৩ বছর আগে মারা যান মহুয়াদেবীর স্বামী নেপালচন্দ্র মাল। সেই থেকে ছেলেকে নিয়ে থাকতেন তিনি। স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁর লেদ কারখানা একজনকে লিজে দিয়েছিলেন মহুয়া। ওই কারখানায় তাঁর ছেলেও কাজ করতেন। সোমবার সকাল ১০ টা নাগাদ কারখানার একটি ছেলে সোমনাথকে ডাকতে যায় তিনতলায়। ঘরের দরজা ছিল বন্ধ। অনেক ডাকাডাকির পরও কেউ দরজা খুলছিল না। এর পর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: সোশাল মিডিয়ায় পরিচয় থেকে প্রেম, সংসার বাঁধতে ঘর ছাড়েন সমকামী দুই তরুণী! তার পর…]
পুলিশ দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে মা ও ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে ঘর থেকে। পুলিশ জানিয়েছে, দুজনে নিজেদের ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে নাইলনের দড়িতে ঝুলছিলেন। ছেলের ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে ১টা বেজে ২০ মিনিট থেকে ১টা বেজে ৩০ মিনিট লেখা ছিল বলে জানা গিয়েছে। সুইসাইড নোট থেকে পুলিশের অনুমান, ওই সময়ের মধ্যে মা ও ছেলে আত্মঘাতী হবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেজন্য সময়টা লিখে রাখেন। এদিকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, স্বামীর মৃত্যুর পর আর্থিক সংকটে পড়ে মাল পরিবার। এলাকার লোকজনকে কাছ থেকে প্রচুর টাকা ধার নিয়েছিলেন। আনুমানিক ১৭ লক্ষ টাকা তাঁদের ঘাড়ে দেনা ছিল। দেনার দায়ে আত্মহত্যা করেন বলে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা।