shono
Advertisement

Breaking News

স্ত্রীকে ‘বোন’বলে পরিচয়! রূপশ্রী প্রকল্পের অর্থ পেতে জালিয়াতি, গ্রেপ্তার ১

স্বামী-স্ত্রী মোট ৫জনের নথি জাল করে বলে অভিযোগ।
Posted: 10:00 AM Jun 13, 2021Updated: 10:00 AM Jun 13, 2021

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: বিয়ে হয়েছে পাঁচ বছর। সন্তান রয়েছে দু’টি। তবুও রাজ্যের রূপশ্রী প্রকল্পের (Rupashree Project) সুবিধা পেতে স্বামী-স্ত্রী মিলে যোগসাজশ করে বলে অভিযোগ। সেই যোগসাজশে স্বামী স্ত্রীকে ‘বোন’ ও শ্বশুরকে ‘বাবা’ পরিচয় দিয়ে জাল নথিপত্র তৈরি করে। আর সেই আবেদনের ভিত্তিতে প্রকল্পের পঁচিশ হাজার টাকার অনুমোদনও দিয়ে দেয় ব্লক প্রশাসন। কিন্তু টাকা রিলিজের আগে ‘স্পট ভেরিফিকেশন’-এ গিয়ে চোখ কপালে উঠে যায় প্রশাসনের। বিডিওর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার স্বামী। পুলিশ ধৃত স্বামীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে এই অপরাধের ব্লু প্রিন্ট জানার চেষ্টা করছে। পুরুলিয়ার পাড়া থানার শাঁকড়া ‘খ’ গ্রামের এই ঘটনায় হতবাক ব্লক প্রশাসন-সহ পুলিশও।

Advertisement

পাড়ার বিডিও গৌতম মণ্ডল জানান, “টাকার অনুমোদনও দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপর আরও একবার খতিয়ে দেখে নিতেই এই বিষয়টি সামনে আসে। পুলিশ তদন্ত করছে।” এই ঘটনায় রূপশ্রী প্রকল্পের আবেদনকারী সারবানু, তার স্বামী ধৃত শেখ সামসেদ-সহ মোট সাতজনের নামে পাড়া থানায় অভিযোগ হয়েছে। বাকি পাঁচজনের নাম শেখ সালেমহম্মদ, শেখ নিয়ামুদ্দিন, শেখ আলাউদ্দিন, শেখ সরফুদ্দিন ও শেখ নাসিম। ওই স্বামী-স্ত্রী প্রকল্পের আর্থিক সাহায্য পেতে এই পাঁচজনের নথিপত্র ব্যবহার করে বলে পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে। পাড়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ধৃতকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার তাকে রঘুনাথপুর আদালতে তোলা হয়। তার সাতদিন পুলিশ হেফাজত হয়।

[আরও পড়ুন: হলদি নদীতে ট্রলার উলটে প্রাণ হারালেন কাঁথির বাসিন্দা, মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা]

ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি সারবানু এই প্রকল্পের আর্থিক সাহায্য পেতে আবেদন করে। সেই আবেদনে তিনি জানান, তার বিয়ে রয়েছে ১৪ মার্চ। ভোটের সময় তার আবেদন খতিয়ে দেখতে পারেনি ব্লক প্রশাসন। ফলে সেই আবেদন পড়েই ছিল। নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর আবেদন পত্র খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়। সেই কাজে প্রথমে এই ভুয়ো আবেদন ধরা পড়েনি। ফলে আবেদনপত্রের ফর্ম দেখে প্রকল্পের অর্থের অনুমোদন দিয়ে দেয় ব্লক প্রশাসন। পরে জানা যায়, ওই আবেদন ভুয়ো ও নথিপত্র সব জাল। এই প্রকল্পে এককালীন পঁচিশ হাজার টাকা পাওয়া যায়।

[আরও পড়ুন: করোনা যুদ্ধে ক্রমশ এগোচ্ছে বাংলা, গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত সাড়ে চার হাজারেরও কম]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement