সম্যক খান, মেদিনীপুর: করোনা (CoronaVirus) হাসপাতালে রোগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল শালবনিতে। শুক্রবার সকালেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, অবসাদ থেকেই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যক্তি।
জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরের (Kharagpur) গ্রামীণ থানা এলাকার সুলতানপুরের বাসিন্দা গোপাল ঘড়ুই নামে ওই ব্যক্তি। বেশ কিছুদিন ধরেই করোনার একাধিক উপসর্গ ছিল তাঁর। সেই কারণে ১২ আগস্ট শালবনির করোনা হাসপাতালে যান তিনি। সেখানে নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলে প্রথম রিপোর্ট আসে পজিটিভ। সেই থেকে হাসপাতালেই ছিলেন গোপালবাবু। পরে ১৭ তারিখ ফের তাঁর নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সেই রিপোর্ট আসে ১৮ আগস্ট। সেই রিপোর্টটিও ছিল পজিটিভ। স্বাভাবিকভাবেই এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন ওই ব্যক্তি।
[আরও পড়ুন: স্নাতকে ভরতি প্রক্রিয়া আরও মসৃণ করতে উদ্যোগী রাজ্য, তৈরি হল ‘বাংলার উচ্চশিক্ষা’ পোর্টাল]
হাসপাতাল সূত্রে খবর, এরপর শুক্রবার সকালে হাসপাতালের একটি ঘরে গলায় গামছার ফাঁস দেওয়া অবস্থায় গোপালবাবুর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান কর্মীরা। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। অনুমান, পরপর দুটো রিপোর্ট পজিটিভ আসায় অবসাদে ভুগতে শুরু করেছিলেন ওই ব্যক্তি। সেই কারণেই এই পরিণতি। তবে এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিমাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “পুলিশকে জানানো হয়েছে। তাঁরা তদন্ত শুরু করেছে।” প্রসঙ্গত, বিশ্বজুড়ে করোনা এতটাই আতঙ্ক ছড়িয়েছে যে মনোবল হারিয়ে ফেলছেন বহু রোগী। সেই কারণেই এধরনের চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলছেন। উল্লেখ্য, রাজ্যজুড়ে করোনা সংক্রমণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন রাজ্যের ৩,১৯৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫৩ জনের। একই সঙ্গে মারণ ভাইরাসকে পরাস্ত করে এই একদিনে সুস্থ হয়েছেন প্রায় ৩০০০ জন।
[আরও পড়ুন: ‘বিশ্বকবির আশ্রম কুস্তির আখড়ায় পরিণত হয়েছে’, বিশ্বভারতীকাণ্ডে খোলা চিঠি বিশিষ্টদের]
The post দুটো রিপোর্টই পজিটিভ, ‘অবসাদে’ হাসপাতালে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী করোনা রোগী appeared first on Sangbad Pratidin.