অর্ণব দাস, বারাকপুর: করোনা আবহে ফের টিকা বিভ্রাট। Vaccine না নিয়েও মিলল Vaccinated সার্টিফিকেট। ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতার সাক্ষী পানিহাটির ত্রাননাথ ব্যানার্জী রোডের বাসিন্দা সুবীর খামরু। তাঁর টিকাকরণ নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। দুশ্চিন্তায় সুবীরবাবু ও তাঁর পরিবার।
কিছুদিন আগে সুবীরবাবুর ছেলে কেন্দ্রীয় সরকারের আরোগ্য সেতুতে (Aarogya Setu) বাবার জন্য ভ্যাকসিনের রেজিস্ট্রেশন করান। এরপর নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী গত ৪ এপ্রিল ভ্যাকসিন নিতে যান তিনি। তবে রবিবার হওয়ায় ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে না বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়। সুবীরবাবুও বাড়ি ফিরে যান। ইতিমধ্যেই তাঁদের মোবাইল নম্বরে একটি মেসেজ আসে। তাতে বলা হয় একটি ফর্ম ডাউনলোড করতে। সেটি ডাউনলোড করেন সুবীরবাবু। দেখা যায় ওই কাগজটিতে লেখা সুবীরবাবুর ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়া হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয় তাঁর ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার তারিখও কাছাকাছি চলে এসেছে বলেই উল্লেখ রয়েছে ওই মেসেজে। তা দেখেই চিন্তিত হয়ে পড়েন সুবীরবাবু এবং তাঁর পরিজনেরা।
[আরও পড়ুন: দলবদল উপপ্রধানের, BJP’র দখলে থাকা ঝাড়গ্রামের ছত্রী গ্রাম পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিল তৃণমূল]
উল্লেখ্য, গত বুধবার সকালে পর্দাফাঁস হয় কসবার ভুয়ো টিকা কাণ্ড (Kasba Fake Vaccine Case)। যাদবপুরের তারকা তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty) কসবার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের ওই টিকাকরণ ক্যাম্পে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও মেসেজ পাননি। তারপর কলকাতা পুরসভায় বিষয়টি জানান। সামনে আসে ভুয়ো টিকা কাণ্ডের নায়ক দেবাঞ্জন দেবের কীর্তি। তবে এবার একেবারেই উলটপুরাণ! ভ্যাকসিন না নিয়েই টিকাকরণের সার্টিফিকেট মেলায় উদ্বিগ্ন পানিহাটির প্রৌঢ়। ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ না নিয়ে কীভাবে দ্বিতীয় ডোজ নেবেন সুবীরবাবু, তা ভেবেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ছে তাঁদের। পরিজনের কোনও ক্ষতি হবে না তো, এই আশঙ্কাই রাতের ঘুম কেড়েছে সুবীরবাবুর পরিবারের সকলের।