সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিবাহ বিচ্ছেদ প্রায়ই হয়ে থাকে। পণ না পেয়ে তালাকও নতুন নয়। তবে এক দম্পতির বিচ্ছেদের কারণ শুনলে আপনি চমকে উঠবেন। এই কারণেও যে বিচ্ছেদ হতে পারে, তা বিশ্বাস না হওয়াই স্বাভাবিক। শুধুমাত্র স্ত্রীর গজদাঁত আছে বলেই তাঁকে তিন তালাক দিল স্বামী। ওই মহিলা তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন।
চলতি বছরের ২৭ জুন হায়দরাবাদের বাসিন্দা রুকসানা বেগমের সঙ্গে মুস্তাফা নামে এক যুবকের বিয়ে হয়। বিয়ের চার মাস কাটতে না কাটতেই গত ৩১ অক্টোবর পুলিশের কাছে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন রুকসানা। তাঁর অভিযোগ, বিয়ের সময় মুস্তাফা এবং তাঁর পরিজনেরা রুকসানার পরিবারের থেকে পণ নেয়। তারপরই দু’জনের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা ওই তরুণীকে অপমান করতে শুরু করে। বাপের বাড়ি থেকে একটি বাইক এবং বেশ কিছু পরিমাণ সোনার গয়না আনার জন্য মুস্তাফার পরিজনেরা চাপ দিতে থাকে বলেও অভিযোগ রুকসানার। তরুণীর আরও অভিযোগ, ক্রমাগতই বাড়তে থাকে অত্যাচার। অবশেষে মুস্তাফা একদিন হঠাৎই তালাক দেয়। কারণ হিসাবে মুস্তাফা জানায়, স্ত্রীর গজদাঁত অপছন্দ হওয়ায় তালাকের সিদ্ধান্ত। এরপর একটি ঘরের মধ্যে মু্স্তাফা ও তাঁর পরিজনেরা প্রায় একটানা পনেরোদিন রুকসানাকে আটকে রাখে বলেও অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: চলতি মাস থেকেই বাংলায় নিষিদ্ধ গুটখা ও তামাকজাত পানমশলা, নিয়ম ভাঙলেই কড়া শাস্তি]
মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচারে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই তরুণী। তাই বাধ্য হয়ে তাঁকে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় স্বামী। সেই সুযোগেই থানায় পৌঁছন রুকসানা। মুস্তাফা এবং তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মুস্তাফার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮ এ ধারায় মামলা রুজু করে। যদিও থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর থেকে এলাকায় আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না মুস্তাফার। একাধিকবার মুস্তাফাকে ফোন করেও পাননি রুকসানা। আপাতত সুবিচারের আশাতেই প্রহর গুনছেন নির্যাতিতা এবং তাঁর বাপের বাড়ির লোকজন।
The post স্ত্রীর গজদাঁত অপছন্দ, মারধরের পর তিন তালাক স্বামীর appeared first on Sangbad Pratidin.