shono
Advertisement

ঘরে মায়ের গলাকাটা দেহ, সিলিংয়ে ঝুলছে বাবা! পাশে বসে রাত কাটাল ৪ বছরের শিশু

নৃশংসতার সাক্ষী নরেন্দ্রপুর।
Posted: 08:41 PM Sep 15, 2022Updated: 08:41 PM Sep 15, 2022

দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ঘরে রক্তাক্ত ও গলাকাটা অবস্থায় পড়ে স্ত্রীর দেহ। ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার স্বামীর দেহ। পাশে বসে চার বছরের ছোট্ট শিশু। মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী দক্ষিণ ২৪ পরগনা নরেন্দ্রপুর থানার রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের উদয়ন পল্লি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন স্বামী। কিন্তু কেন এই নৃশংসতা?

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, নিহতদের নাম নির্মল গায়েন (৩৫) ও চন্দনা গায়েন (৩০)। মাত্র ৪ দিন আগে নরেন্দ্রপুরের উদয়পল্লিতে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন তাঁরা৷ এলাকায় দিনমজুরের কাজ করার জন্যই ঘরটি ভাড়া নেন ওই দম্পতি। প্রতিদিনের মতোই গতকালও কাজ সেরে বাড়ি ফেরেন নির্মল। কিন্তু সকালে তাঁদের আওয়াজ পাননি প্রতিবেশী বা বাড়ির মালিক কেউই। ভিতর থেকে বন্ধ ছিল দরজা। দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও তারা না বেরনোয় জানলায় চোখ রাখেন প্রতিবেশীরা। দেখেন, গলাকাটা অবস্থায় পড়ে চন্দনার দেহ। গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন নির্মল। পাশে বসে তাঁদের সন্তান। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। আপাতত বাচ্চাটিকে তুলে দেওয়া হয়েছে চাইল্ড লাইনের হাতে।

[আরও পড়ুন: প্রথম ভারতীয় হিসেবে অনন্য সাফল্য, দুর্গম ‘মাউন্ট আলি রত্নি টিব্বা’ জয় বাংলার ৪ পর্বতারোহীর]

জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে রক্তাক্ত অস্ত্র। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, ধারালো অস্ত্র দিয়েই প্রথমে মহিলাকে খুন করা হয়। পরে গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন নির্মল। এ বিষয়ে প্রতিবেশী কবিতা বোড়াল বলেন, “তিন-চারদিন আগে এলাকায় ঘর ভাড়া করে এসেছিলেন। হঠাৎ করে কী এমন হল বুঝতেই পারছি না।”

প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সংসারে অভাব-অনটনের কারণেই অশান্তি ছিল। তার জেরেই এই ভয়ংকর হত্যাকাণ্ড। যদিও পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

[আরও পড়ুন: রাজ্যে ফের বিনিয়োগ টাটার, খড়গপুরে ছশো কোটির ইউনিটের ফিতে কাটলেন মুখ্যমন্ত্রী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement