সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোবাইলের নেশায় শৈশব যে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে, সেকথা বারবার বলেছেন অনেকেই। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইন ক্লাসের দৌলতে সেই মোবাইলই এখন শিশুদের কাছে হয়ে উঠেছে আরও সহজলভ্য। নেই স্কুল। এমনকী অন্য কোনও ক্লাসের জন্য বাইরে বেরনোর গতি নেই। তাই অনলাইন ক্লাসের পাশাপাশি স্মার্টফোন ব্যবহার করেই সময় কাটাচ্ছে কচিকাঁচারা। যার বড় অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তার খেসারত দিতে হল এক ব্যক্তিকে।
ঠিক কী হয়েছিল? নাগপুরের কোরাডির বাসিন্দা অশোক মানওয়াতে। তাঁর পনেরো বছর বয়সি একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। দিনকয়েক আগে ছেলের হাতে ছিল তাঁর স্মার্টফোন। ইতিমধ্যে কাস্টমার কেয়ার সার্ভিসের নাম করে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির ফোন আসে। কিশোর ফোনটি ধরে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ওই ব্যক্তি একটি অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করতে বলে। সম্ভবত বাবার ক্রেডিট কার্ডের লিমিট বৃদ্ধির আশায় কিশোর তা করেও ফেলে। ব্যস! অ্যাপ (App) ডাউনলোড করা মাত্রই ফোনটি ওই ব্যক্তির হাতের মুঠোয় চলে আসে। সে কৌশলে ওই ব্যক্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ৮ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। ফোনে আসা একের পর এক এসএমএসে তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা হয়ে যায়। সেকথা জানতে পারেন অশোক মানওয়াতে।
[আরও পড়ুন: অরুণাচল সীমান্তে অশান্তির ছক! তিব্বতে দ্রুত রেললাইন তৈরির নির্দেশ শি জিনপিংয়ের]
এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯ এবং ৪২০ ধারায় মামলা রুজু করা হয়। তবে এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সমস্ত টাকা গায়েব হয়ে যাওয়ায় সর্বস্বান্ত ওই ব্যক্তি। এই পরিস্থিতিতে মাথায় হাত পড়েছে তাঁর।