সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১২ বছর পর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংঘের সদর দপ্তরে গিয়ে তিনি যে অভিভূত, সেটা বোঝাতে হাতে লেখা চিঠি স্মৃতি মন্দিরে রেখে এলেন তিনি। সঙ্গে মোদির মুখে প্রত্যাশিতভাবেই সংঘের ভূয়সী প্রশংসা। প্রধানমন্ত্রী বললেন, "মহীরুহের মতো ভারতীয় সংস্কৃতিকে রক্ষা করে চলেছে আরএসএস।"

রবিবার নাগপুরের রেশমিবাগে আরএসএসের সদর দপ্তরের কাছে স্মৃতি মন্দির দর্শনে যান প্রধানমন্ত্রী। শ্রদ্ধা জানালেন সংঘের প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারকে। পরে সংঘ পরিচালিত মাধব নেত্রালয়ের নতুন ভবনের শিলান্যাসের মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমাদের দুই পথপ্রদর্শককে সম্মান জানাতে পেরে আমি অভিভূত।" আরএসএসের শতবর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, "একশো বছর আগে পোঁতা জাতীয়তাবাদের বীজ আজ মহীরুহ বটবৃক্ষে পরিণত হয়েছে। আদর্শ এবং অনুশাসন এই বটবৃক্ষকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। এটা সাধারণ বটবৃক্ষ নয়, আরএসএস ভারতের অমর সংস্কৃতির আধুনিক অক্ষয়বট। আজ ভারতীয় সংস্কৃতি এবং রাষ্ট্রীয় চেতনাকে প্রতিনিয়ত শক্তিশালী করছে আরএসএস।"
এর আগে রেশমিবাগে আরএসএসের সদর দপ্তরের স্মৃতি মন্দিরে হাতে লেখা একটি নোট রেখে আসেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী সেই নোটে লেখেন, 'ভারতীয় সংস্কৃতি, জাতীয়তাবাদ এবং সংঘের মূল্যবোধের প্রতি নিবেদিত এই পবিত্র স্থানই জাতির সেবায় আমাদের অনুপ্রেরণা।' প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, সংঘের প্রচেষ্টা ভারতকে আরও উজ্জ্বল করবে।'
আরএসএসের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নাড়ির টান। দীর্ঘদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচারক হিসাবে কাজ করেছেন। কিন্তু ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর একবারও সংঘের কোনও অনুষ্ঠানে সরাসরি যোগ দেননি তিনি। একা মোদি কেন, এর আগে কোনও প্রধানমন্ত্রীই আরএসএসের অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে যোগ দেননি। রবিবার ‘বিক্রম সম্বত’ বা হিন্দু নববর্ষের প্রথম দিন, যা মহারাষ্ট্রে গুড়ি পড়ওয়া হিসাবে পালিত হয়। সেইদিন মোদির এই সংঘযাত্রা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।