সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার হতে চলেছে ৬.৫ শতাংশ। কিন্তু বিকশিত ভারতের লক্ষ্যপূরণের জন্য সেই বৃদ্ধি যথেষ্ট নয়। নতুন করে নীতি নির্ধারণ করতে হবে মোদি সরকারকে। এমনটাই মনে করছে সমীক্ষক সংস্থা ইওয়াই ইকোনমি ওয়াচ।

বিখ্যাত ওই সমীক্ষক সংস্থা বলছে, আগামী অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধির হার থাকতে পারে ৬.৫ শতাংশ। কিন্তু বিকশিত ভারতের স্বপ্ন সফল করতে গেলে বৃদ্ধির হার আরও বেশি হতে হবে। সেটার জন্য নীতি বদলের প্রয়োজন। আসলে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকার ২০২৭ সালের মধ্যে ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসাবে তুলে ধরতে চায়। সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে গেলে অনেক বেশি বৃদ্ধির প্রয়োজন। তাছাড়া মোদি সরকারের টার্গেট ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে বিকশিত ভারত হিসাবে তুলে ধরা। এই হারে বৃদ্ধি হলে সেটাও সম্ভব হবে না।
যদিও আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার বা আইএমএফ বলছে, যে হারে ভারতের অর্থনীতির বৃদ্ধি হচ্ছে সেটা সন্তোষজনক। আইএমএফের পর্যবেক্ষণ, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে ভারত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক পরিকাঠামো হিসাবে বিশ্বের মানচিত্রে জায়গা করে নেবে ভারত। আইএমএফের তরফে সম্প্রতি একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা বর্তমানে খুবই মজবুত ও স্থিতিশীল জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। যে কোনও রকম পরিস্থিতি ও চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করার মতো মজবুত জায়গাতেও রয়েছে তারা। ভারতে যে ধরনের উচ্চমানের কাজের ক্ষেত্র নিয়মিত উন্মুক্ত হচ্ছে, তাতে অর্থের হাতবদলও হবে বড় মাত্রায়। তাতেই আর্থিক বৃদ্ধির পরিমাণ অনেকটাই বাড়বে বলে আশাবাদী আইএমএফ।