সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের স্বাস্থ্য পরিষেবায় বড়সড় গাফিলতির অভিযোগ উঠল মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh)। গতকাল সেখানে একটি সিরিঞ্জ দিয়ে ৩০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়ার হয়েছে অভিযোগ উঠেছিল। যা নিয়ে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ায়। এবার হৃদয় বিদারক ঘটনার সাক্ষী হল ওই রাজ্য। শববাহী গাড়ির অভাবে বাইকের পেছনে মৃত মায়ের দেহ বেঁধে বাড়ি ফিরলেন এক যুবক। এভাবেই ৮০ কিলোমিটার পাড়ি দেন তিনি। ওই যুবক অভিযোগ করেন, সরকারি হাসপাতলের গাফিলতিতেই তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়েছে, চাওয়া হলেও তাঁকে শববাহী গাড়ি বা অ্যাম্বুলেন্স (Ambulance) দেওয়া হয়নি। এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দায় সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল। অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর।
ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের শাহদুল জেলার শাহদুল মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের (Shahdul Medical College and Hospital)। সেখানে মায়ের চিকিৎসা করাতে আসেন অনুপপুর (Anuppur) জেলার বাসিন্দা দুই ব্যক্তি। অনুপপুরের গোদরাউ গ্রামের বাসিন্দা জয়মন্ত্রী যাদবের (Jaimantri Yadav) বুকে ব্যথা হওয়ায় প্রথমে তাঁকে জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালের পরামর্শ মতো তাঁকে শাহদুল মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে আসে ছেলেরা।
[আরও পড়ুন: টিকা নিলে ফ্রি-তে ছোলে-বাটুরে, বুস্টার ডোজ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে অভিনব উদ্যোগ]
মৃতার ছেলে সুন্দরের যাদব অভিযোগ করেন, শাহদুল মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের নার্সরা ঠিক মতো দেখভাল করেনি রোগীর। মায়ের মৃত্যুর জন্য সরাসরি হাসপাতালের গফিলতিকে দায়ি করেন সুন্দর। এমনকী চাওয়া হলেও তাঁদের শববাহী গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়নি জানান তিনি। সুন্দর জানান, হাসপাতাল চত্বরের প্রাইভেট গাড়িগুলি চাইছিল ৫ হাজার টাকা করে। যা দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না তাঁদের। এই অবস্থায় বাধ্য হয়ে ১০০ টাকা দিয়ে একটি কাঠের পাটাতন কেনেন সুন্দর। তাতে মায়ের দেহ বাঁধেন তিনি। এরপর ওই পাটাতনটিকে বাইকের সঙ্গে শক্তি করে বেঁধে ৮০ কিলোমিটার দূরের গ্রামের বাড়িতে ফেরেন।
[আরও পড়ুন: গুলিবিদ্ধ হয়েও মারণ কামড় জঙ্গিকে! প্রিয় সারমেয়র মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ সেনার]
গতকাল এক সিরিঞ্জে ৩০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া, আজ বাইকের পিছনে মায়ের দেহ নিয়ে ফেরা যুবক, পর পর এমন দুই ঘটনায় মুখ পুড়েছে মধ্যপ্রদেশ স্বাস্থ্য দপ্তরের। বাইকে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। ঘটনায় প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কোনও রাজ্যে মন্ত্রিসভা কেন রয়েছে, যদি থাকে তবে তাঁরা কী করছে? বারবার একই দৃশ্য দেখা যাবে কেন?