দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: গঙ্গাদূষণ রোধ ও হতাশাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে গঙ্গোত্রী থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত প্রায় ৪০৪০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে নজির গড়লেন অতুলকুমার চৌসাকি। ৪০ বছরের অতুল একজন আন্তর্জাতিক ক্রিয়া প্রতিযোগী। ৬ নভেম্বর ২০২১ হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে যাত্রা শুরু করে ছিলেন তিনি।
অতুলকুমার চৌসাকির বাড়ি মহারাষ্ট্রের নাগপুরে। ৬ নভেম্বর গঙ্গোত্রী থেকে রওনা হন তিনি। উত্তরাখন্ড, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড হয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছেন তিনি। ৪০৪০ কিলোমিটার পথ পেরতে তাঁর সময় লেগেছে ৫ মাস ১৪ দিন। সঙ্গে ছিল ১৮০ কেজি ওজনের একটি ব্যাগ। অতুল আদতে একজন আন্তর্জাতিক আল্ট্রা ম্যারাথন খেলোয়াড়। সাহারা মরুভূমিতে দৌড়ে পদক জিতেছিলেন তিনি। এছাড়াও থর মরুভূমিতে ও দৌড়েছেন অতুল। এবার গঙ্গাকে দূষণ মুক্ত করতে, মানুষকে ডিপ্রেশন মুক্ত করতে তাঁর এই পদযাত্রা। গঙ্গা নদী দূষণ মুক্ত হোক এবং মানুষ ডিপ্রেশন মুক্ত হোক এই বার্তা দিচ্ছেন সাধারণ মানুষকে।
[আরও পড়ুন: ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবির ভূয়সী প্রশংসায় মোদি, বার্তা পেয়েই হলমুখী বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব]
আজকের প্রজন্মের বহু মানুষ বিভিন্ন ব্যক্তিগত, সামাজিক ও আর্থিক কারণে চিন্তিত। ফলে অনেকেই নেশা করছেন। হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা পর্যন্ত করছেন কেউ কেউ। সেই সবদিক বিবেচনা করেই মানুষকে বার্তা দিচ্ছেন অতুল। তাঁর কথায়, গঙ্গাকে প্রণাম করে তার থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়া দরকার, কারণ এতো দূষণ বহণ করে বয়ে চলেছে এই নদী। গঙ্গাসাগর পৌঁছতে পেরে খুশি প্রকাশ করেছেন তিনি। কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেছেন, এই নদী বেষ্টিত তীর্থ শ্রেষ্ঠ গঙ্গাসাগরকে যেন টিকিয়ে রাখা হয়। পরিবারের রোজগেরে যুবক অতুল আগামী দিনে ডিপ্রেশন থেকে মানুষকে মুক্ত করার জন্য একটি হাসপাতাল তৈরি করতে চান। রাজ্যের সাধারণ মানুষ থেকে সাগরদ্বীপের সকল বাসিন্দা অতুলের এই প্রয়াসকে কুর্ণিশ জানিয়েছে।