সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্ত্রী ও মেয়ের ‘তালিবানি অত্যাচারের’ শিকার সোনারপুরের (Sonarpur) বাসিন্দা বিশ্বনাথ পাত্র। প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দিলে তাঁরাই গিয়ে উদ্ধার করে নির্যাতিত ওই ব্যক্তিকে। যদিও অত্যাচারের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি অভিযুক্তদের।
ব্যাপারটা ঠিক কী? দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের বাদামতলার বাসিন্দা বিশ্বনাথ পাত্র। স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গেই থাকতেন তিনি। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, কয়েকদিন আগে শিকল দিয়ে বেঁধে ওই ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করে স্ত্রী ও মেয়ে। এর জেরে পা ভেঙে যায় ওই ব্যক্তির। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন তিনি। তবে শিকল দিয়ে আটকে রাখায় কোথাও যেতেও পারছিলেন না।
[আরও পড়ুন:Visva Bharati: আরও উত্তপ্ত বিশ্বভারতী, উপাচার্যের বাড়ির সামনে ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি! দায়ের FIR ]
অভিযোগ, এই অবস্থাতেও ওই ব্যক্তির চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থা করেনি স্ত্রী ও মেয়ে। বিষয়টি জানতে পেরে বিশ্বনাথবাবুকে খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করেন প্রতিবেশীরা। এরপর তাঁরাই খবর দেয় সোনারপুর থানায়। অভিযোগ পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তারাই শিকল খুলে মুক্ত করেন বিশ্বনাথবাবুকে। জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। অভিযুক্তদের দাবি, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। বিশ্বনাথবাবুই মারধর করতেন বলে অভিযোগ তাঁর স্ত্রীর।
বিশ্বনাথবাবুর স্ত্রী ও মেয়ের আচরণে কার্যক হতবাক প্রতিবেশীরা। কিন্তু কেন এই আচরণ, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। দ্রুতই আসল তথ্য প্রকাশ্যে আসবে। অভিযুক্তরা শাস্তি পাবে।