সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আদালতের মধ্যেই স্ত্রীকে গলা কেটে খুন করলেন স্বামী! ভয়ংকর কাণ্ডের সাক্ষী হল কর্ণাটকের (Karnataka) একটি পরিবার আদালত। ঘটনায় হতবাক বিচারপতি থেকে আইনজীবীরা। স্বামীর হামলায় গুরুতর আহত স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। অন্যদিকে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে কর্ণাটকের হাসান (Hassan) জেলায়। সেখানকার হোলেনরসিপুর পারিবারিক আদালত ভবনে। ৩২ বছর বয়সি শিবকুমার (Shivakumar) এবং ২৮ বছরের চিত্রার (Chitra) বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছিল। দু’পক্ষের আইনজীবীর সওয়াল-জবাব প্রায় ঘণ্টা খানেক ধরে চলে। এরপর নিয়ম মতো মামলার পরবর্তী দিন জানান বিচারক। তারপরেই ঘটে যায় হাড় হিম করা ঘটনা।
[আরও পড়ুন: বিনামূল্যে তাজমহল দর্শনের সুযোগ পেয়ে হাজার হাজার মানুষের ভিড়, সামাল দিতে লাঠিচার্জ পুলিশের]
আদলত ভবনের শৌচালয়ে যান চিত্রা। সেই সময় পিছন থেকে ছুড়ি নিয়ে হামলা চালান শিবকুমার। ধারাল ছুড়ি দিয়ে কোপ বসান স্ত্রীর গলায়। চিত্রার চিৎকারে ছুটে আসেন সকলে। পালানোর চেষ্টা করেন শিবকুমার। কিন্তু উপস্থিত জনতার চেষ্টায় তা সম্ভব হয়নি। জনতাই শিবকুমারকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। অন্যদিকে দ্রুত অ্যাম্বুল্যান্সে চিত্রাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় তরুণীর। চিত্রার ধমনী কেটে গিয়েছিল বলেও জানান চিকিৎসকরা।
আদলত সূত্রে জানা গিয়েছে, শিবকুমারের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ এনেছিলেন চিত্রা। সেই সূত্রেই বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছিল ওই পরিবার আদালতে। যদিও এদিনের শুনানিতে শিবকুমার-চিত্রা উভয়ে ফের একসঙ্গে থাকতে সম্মত হয়েছিলেন বিচারকের সামনে। তারপরেই এই কাণ্ড।
[আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে কসাইখানা বন্ধে কাজ হারাচ্ছে ‘মুসলিম ভাই’রা, যোগীকে বোমা মেরে হত্যার হুমকি]
শিবকুমারের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছে কর্ণাটক পুলিশ। আদলত চত্বরে কী করে ছুড়ি নিয়ে ঢুকতে পারল অভিযুক্ত, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এক পুলিশ আধিকারিক হরিরাম শংকর বলেন, “আদালত ভবনে খুন হয়েছে। শিবকুমার কীভাবে ছুড়ি নিয়ে আদলত চত্বরে ঢুকল তা খতিয়ে দেখছি আমরা। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এদিন চিত্রাকে খুন করার পরিকল্পনা নিয়েই আদালতে এসেছিল শিবকুমার।”