শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: মাত্র ১৯ বছর বয়সে কোটিপতি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের রাজমিস্ত্রি। লটারিতে পেলেন এক কোটি টাকা। বিষয়টি জানাজানি হতেই খুশির আমেজ যুবকের বাড়িতে। আনন্দিত পাড়া-প্রতিবেশীরাও।
জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম মিঠু দেবশর্মা। পেশায় রাজমিস্ত্রি। বয়স মাত্র ১৯ বছর। রায়গঞ্জের বীরঘই গ্রামপঞ্চায়েতের বাসিন্দা ওই যুবক। মোটের উপর কষ্টে টেনেটুনেই চলত সংসার। সুদিন আসার স্বপ্ন দেখতেন। লটারির নেশা না থাকলেও ভাগ্য বদলের আশায় মাঝে মধ্যে লটারির টিকিট কিনতেন মিঠু। তবে কোনওদিনও স্বপ্নেও ভাবেননি যে রাতারাতি কোটি টাকার মালিক হবেন তিনি। কিন্তু হল ঠিক তেমনটাই।
[আরও পড়ুন: প্রার্থী দিতে পারেনি তৃণমূল, তেহট্টের সমবায় সমিতির ৪৯ টি আসনেই জয়ী বামেরা]
গত শনিবার ৩০ টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কেনেন মিঠু। কয়েকঘণ্টায় ভাগ্যবদল। রাতের দিকে জানতে পারেন প্রথম পুরস্কারের ১ কোটি টাকা জিতেছেন তিনিই। প্রথমে বিষয়টাতে হতবাক হয়ে যান নিজেই। কোটিপতি হওয়ার খবরে আনন্দের জোয়ারে ভাসছে দেবশর্মা পরিবার। মিছু বলেন, “আমি রাজমিস্ত্রি। এক কোটি টাকা কোনওদিন স্বপ্নেও ভাবিনি। দিন আনি দিন খাই। আমার আনন্দ বোঝাতে পারব না।” তবে আনন্দের পাশাপাশি খানিকটা ভয়ও রয়েছে মিঠুর মনে। এত টাকা দিয়ে কী করবেন মিঠু? তিনি জানিয়েছেন, সংসারের অবস্থা মোটেই ভাল না। পুরো টাকাটাই সংসারের জন্য খরচ করবেন।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই মন্তেশ্বরের বাঘাসন পঞ্চায়েতের বাঘাসন গ্রামের বাসিন্দা উৎপল পাল লটারিতে জিতেছেন কোটি টাকা। পেশায় বাসকর্মী ওই ব্যক্তির নুন আনতে পান্তা ফুরনোর সংসারে দুই সন্তানের পড়াশোনা এবং বৃদ্ধা মায়ের চিকিৎসার খরচ সামলানো দায় ছিল। কারণ, সারাদিনে আয় খুবই কম। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে জোড়াতালি দিয়েই চালিয়ে নিতেন সংসারের সবদিকটা। হাতে টাকা না থাকলেও কষ্ট করেই মাঝেমধ্যে কাটতেন লটারির টিকিট। তাতেই ফিরেছিল ভাগ্য।