সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সঞ্জিত ঘোষ: নদীতে স্নান করতে যাওয়ায় বকাবকি করেছিলেন মা। যার পরিণতি হল ভয়ংকর। অভিমানে আত্মঘাতী ১০ বছরের ছাত্র। ঘটনাস্থল দুর্গাপুরের কাজোরা মোড় এলাকায়। এদিকে নদিয়ার (Nadia) শান্তিপাড়ায় মামার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হল নাবালকের। ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়।
দুর্গাপুরের অন্ডাল থানার কাজোড়া মোড় মাঝিপাড়া বাসিন্দা বছর দশেকের মোহিত কুমার। বাবা-মা আলাদা থাকেন। মোহিত থাকত কাজোরা মোড় মাঝিপাড়ায় তার মা সোনি দেবীর কাছে। স্থানীয় একটি সরকারি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত সে। সোমবার সকালে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে সে বাড়িতে না বলে সিঙ্গারণ নদীতে যায় স্নান করতে। বাড়ি ফিরতে দেরি হয়। স্বাভাবিকভাবেই মা তাকে বকাঝকা করেন। এতে অভিমান হয় নাবালক মোহিতের। এর পরই কাউকে কিছু না বলে ঘরের ভেতর ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয় মোহিত। কিছুক্ষণ পর সোনিদেবী ঘরে ঢুকতে গেলে দেখেন ভিতর থেকে দরজা বন্ধ রয়েছে। মোহিতকে ডাকাডাকি করা সত্ত্বেও দরজা না খোলায় পাড়া-প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় দরজা ভাঙা হয়। ঘরের ভিতরে দৃশ্য দেখে সবাই হতবাক। ঘরের মধ্যে গলায় ফাঁস লাগা অবস্থায় ঝুলছে মোহিতের নিথর দেহ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় অন্ডাল থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
[আরও পড়ুন: আরও বাড়ল গরমের ছুটি, কবে খুলবে স্কুল?]
এদিকে নদিয়ায় মৃতের নাম সুমন বাগচী। তার বাড়ি সোনাডাঙ্গা স্টেশনপাড়া এলাকায়। সূত্রের খবর সোমবার বেলা বারোটা নাগাদ ওই কিশোর মামারবাড়ির কাছে মামাতো ভাইয়ের সঙ্গে খেলা করছিল। পরিবার সূত্রে জানা যায়, হঠাৎই ওই বালক মামার বাড়ির পিছনে একটি ডোবায় পা পিছলে পড়ে যায়। তড়িঘড়ি মামাতো ভাই পরিবারের লোকজনকে খবর দিলে তড়িঘড়ি ছুটে আসেন পরিবারের লোকজন। ডোবা থেকে তল্লাশি চালিয়ে বালককে উদ্ধার করে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। গোটা ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে।