সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে বেরিয়ে নিখোঁজ কিশোরী। একসপ্তাহ পর জলাজমি থেকে উদ্ধার পচাগলা দেহ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) উস্তি এলাকায়। বেপাত্তা কিশোরীর প্রেমিক।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তির বাসিন্দা সাইমা খাতুন। বয়স আনুমানিক ১৭ বছর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উস্তির শেরপুরের বাসিন্দা সাদ্দাম বেগের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার। প্রেমিক বিবাহিত, তার স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। কর্মসূত্রে দুবাইয়ে থাকত সাদ্দাম। দিন দশেক আগে শেরপুরে নিজের বাড়িতে ফেরে যুবক। এরপরই প্রেমিকা সাইমাকে দেখা করার প্রস্তাব দেয়। দিন সাতেক আগে তারা দেখা করে। বেড়াতে যায়।
[আরও পড়ুন: ‘জেলা ভাগ লেডি বিন তুঘলকের খামখেয়ালি সিদ্ধান্ত’, মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ সুকান্তর, পালটা তৃণমূলের]
সেই যে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল, তার পর আর ফেরেনি সাইমা। স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন কিশোরীর পরিবারের লোকজন। আত্মীয়দের বাড়ি-সহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু কোথাও কোনও হদিশ মেলেনি সাইমার। শেষে গত ৩০ জুলাই পরিজনেরা উস্তি থানায় কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুবকের বিরুদ্ধে। এরপর বৃহস্পতিবার বিকেলে উস্তির শেরপুরের একটি জলাজমিতে স্থানীয় বাসিন্দারা পচাগলা একটি মৃতদেহ ভাসতে দেখেন। পুলিশকে খবর দেন তাঁরা। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে।
রাতে দেহটি শনাক্ত করেন সাইমার পরিবারের লোকজন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত কিশোরীর শরীরে আঘাতের কোনও চিহ্ন মেলেনি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। শুক্রবার দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, অভিযুক্ত যুবক পলাতক। তার খোঁজে জোর তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।