সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: নাবালিকা বধূর রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) মগরাহাট থানার বিশ্বেশ্বরপুরে। মঙ্গলবার সকালে শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই বধূর ঝুলন্ত দেহ। মৃতার বাপেরবাড়ির অভিযোগ, পণের জন্য পরিকল্পিতভাবেই ওই নাবালিকাকে খুন করেছে শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। যদিও এই ঘটনা খুন না আত্মহত্যা তা নিয়ে এখনও ধন্দে পুলিশ।
মাত্র কয়েকমাস আগেই মগরাহাটের বিশ্বেশ্বরপুরের মোল্লাপাড়ার বাসিন্দা নওশত মোল্লার সঙ্গে দেখাশোনা করেই বিয়ে হয় ১৭ বছরের রামনগরের হোসেনেয়ারা খাতুনের। অভিযোগ, বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে নগদ টাকা ও আসবাবপত্র দেওয়া হলেও পাঁচমাস পর থেকে মাঝেমধ্যেই নগদ টাকা শ্বশুরবাড়ির কাছে দাবি করত নওশত। সেই টাকা না পেলেই নাবালিকা স্ত্রীর ওপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালাত সে। মৃতার কাকা জুলফিকার লস্করের অভিযোগ, জামাইয়ের দাবিমতো একবার ৫০ হাজার টাকা নগদ ও কিছু আসবাবপত্র দেওয়া হয়েছিল। তারপরও নগদ টাকা চেয়ে হোসনেয়ারাকে মারধর করত নওশত। হোসনেয়ারার বাবা হোসেন আলি লস্কর জানিয়েছেন, মেয়ের শ্বশুরবাড়ির দাবিমতো ৯০ হাজার টাকার সোনার গয়না ও আরও কিছু আসবাবপত্র দিয়েছিলেন তিনি। তাঁরা জানতেও পারেননি নওশতের প্রথম পক্ষের স্ত্রী রয়েছে! সে কথা জানার পর তিনি মেয়েকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। কিন্তু একরকম জোর করেই নওশত নাবালিকাকে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। দাবি করে আরও বেশ কিছু নগদ টাকার।
[আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন পৌঁছে দিতে একসঙ্গে কাজ করব, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আশ্বাস মমতার]
কিন্তু নাবালিকার বাপের বাড়ির পক্ষে কোনওমতেই আর নগদ টাকা বা জিনিসপত্র দেওয়া সম্ভব ছিল না। যার জেরে হোসেনেয়ারাকে মারধর করত তার স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সকালে ওই নাবালিকার বাপেরবাড়িতে খবর দেওয়া হয়, তাঁদের মেয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মৃতার বাবার অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবেই খুন করা হয়েছে তাঁর মেয়েকে। দোষীদের কঠিন শাস্তির দাবিও জানান তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি খুন না আত্মহত্যা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না।