সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: স্কুল খুলে গিয়েছে। ফলে বন্ধ অনলাইন ক্লাস। তাই ফোন সঙ্গে নিয়ে বেড়িয়েছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের বধূ। যার পরিণতি হল মর্মান্তিক। ফোন বাড়িতে না রেখে যাওয়ায় অভিমানে আত্মঘাতী হল তাঁর মেয়ে। ঘর থেকে মিলল দশম শ্রেণির ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। ইতিমধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বালুরঘাটের ৪৫/সি মেহেতা রোডের বাসিন্দা পেশায় জুটমিল কর্মী সুভাষ মণ্ডল। স্ত্রী রানু ও তিন সন্তান নিয়েই সংসার তার। রানুদেবী একটি দোকানে কাজ করেন। এতদিন অনলাইন ক্লাসের জন্য মোবাইল মেয়ের কাছে রেখেই কাজে যেতেন তিনি। কিন্তু এখন স্কুল খুলে গিয়েছে। সেই কারণে বৃহস্পতিবার রানুদেবী ইচ্ছে করেই ফোনটি সঙ্গে নিয়েই দোকানে যান।
[ আরও পড়ুন: ‘মদন শুধুই রবীন্দ্রসংগীত গাইবে’, প্রশাসনিক বৈঠকে কেন এমন ‘নির্দেশ’ মমতার?]
মা ফোন নিয়ে যাওয়ায় অভিমান হয় বজবজ ম্যানুয়াল গার্লস হাই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রীর। এদিন সাড়ে ন’টা নাগাদ মণ্ডল দম্পতির বড় ছেলে ঘরে ঢুকে দেখে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে বোন। সঙ্গে সঙ্গে বাবা-মাকে বিষয়টি জানায় সে। খবর পেয়েই বাড়ি ফিরে যান মণ্ডল দম্পতি। কিশোরীকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকরা।
ইতিমধ্যেই কিশোরীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়েছে মণ্ডল দম্পতি। ফোন নিয়ে কাজে যাওয়ার পরিণতি এমনটা হতে পারে, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি রিনাদেবী।