অভিষেক চৌধুরী, কালনা: ছটপুজোয় বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ-নাচের জেরে বেধড়ক মার বাবার। অভিমানে আত্মঘাতী কিশোরী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের হাটকালনায়। যদিও কিশোরীর বাবার দাবি, প্রণয়ঘটিত সম্পর্কে জড়িয়েছিল মেয়ে, সেই কারণেই মারধর করা হয়েছিল তাকে।
পূর্ব বর্ধমানের কালনা (Kalna) থানার গ্রামকালনার বাসিন্দা অঙ্কিতা বিশ্বাস। স্থানীয় ধাত্রীগ্রাম বালিকা বিদ্যালয়ের ষষ্ঠশ্রেণির পড়ুয়া সে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ছটপুজো উপলক্ষ্যে সেখানে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। মাইকের শব্দ টের পেয়ে সেখানেই গিয়েছিল অঙ্কিতা। এলাকার বন্ধুদের সঙ্গে নাচে মেতে উঠেছিল পড়ুয়া। টের পেয়েই অঙ্কিতাকে জোর করে বাড়িতে নিয়ে আসে তার বাবা। বেধড়ক মারধর করা হয় পড়ুয়াকে। এরপরই বুধবার সকালে ঘর থেকে উদ্ধার হয় অঙ্কিতার ঝুলন্ত দেহ। খবর পেয়েই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: নিয়ম ভেঙে একই হাসপাতালে বছরের পর বছর! ৬ হাজার চিকিৎসককে বদলির সিদ্ধান্ত রাজ্যের]
স্থানীয়দের অভিযোগ, ছেলেদের সঙ্গে নাচার শাস্তি হিসেবেই অঙ্কিতাকে মারধর করে তার বাবা। সেই অপমানেই আত্মঘাতী হয়েছে কিশোরী। স্থানীয়দের দাবি, প্রায়ই অঙ্কিতাকে মারধর করত বাবা। শুধু তাই নয়, অঙ্কিতার দিদির উপরও অকথ্য অত্যাচার চালাত বাবা। বেধড়ক মারধর করা হত। সেই কারণেই অঙ্কিতার দিদি বাড়ি থেকে পালায় বলেই খবর।
যদিও অঙ্কিতার বাবার দাবি, নাচের জন্য নয়, মেয়ের ব্যাগে প্রেমপত্র পাওয়া গিয়েছিল। সেই কারণেই তাকে মারধর করেছিল সে। বড় মেয়েকে মারধরের বিষয়টিও স্বীকার করে নেয় অঙ্কিতার বাবা। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।