বাবুল হক ও তারক চক্রবর্তী: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায়(Kanchanjunga Express Accident) প্রাণ গেল আরও এক খুদের। মালদহের সামসির বাসিন্দা ওই নাবালিকা ভর্তি ছিল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে। মঙ্গলবার সকালে মৃত্যু হয়েছে তার। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মৃতার বাবা-মাও।
জানা গিয়েছে, মালদহের সামসির বাসিন্দা ওই শিশুকন্যার নাম স্নেহা মণ্ডল। তার বয়স ৬ বছর। বাবা মহিলাল মণ্ডল পেশায় হাই স্কুলের শিক্ষক। মা ছবি মণ্ডল চাঁচোলের খেমপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূলের শিক্ষক। সূত্রের খবর, ওই দম্পতি মেয়েকে নিয়ে শিলিগুড়ি গিয়েছিলেন। মাটিগাড়ায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন তাঁরা। সোমবার সকালে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ফিরছিলেন তাঁরা। ভয়ংকর দুর্ঘটনায় মুহূর্তে বদলে গিয়েছে তিনজনের জীবন। গুরুতর জখম অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। সেখানেই তিনজনের চিকিৎসা চলছিল।
[আরও পড়ুন: বইয়ে পালা করে ব্যবহৃত হবে ‘ভারত’ ও ‘ইন্ডিয়া’, শব্দ ব্যবহারে বিতর্ক নিয়ে দাবি NCERT-এর]
মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে মৃত্যু হল স্নেহা মণ্ডলের। তাঁর বাবা-মা এখনও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, নাবালিকার আঘাত গুরুতর ছিল। মৃতার কাকা জানিয়েছেন, এই মৃত্যুর খবর এখনও শিশুর বাবা-মা জানার মতো অবস্থায় নেই। গ্রামের বাসিন্দারাও কিছু জানেন না। প্রসঙ্গত, সোমবার সকাল ৮ টা বেজে ৪৫ মিনিট। শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে সজোরে ধাক্কা মালগাড়ির। দেশলাইয়ের বাক্সের মতো উলটে গিয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। একটি কামরা উঠে গিয়েছিল মালগাড়ির উপর। তড়িঘড়ি শুরু হয় উদ্ধার কাজ। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া কামরায় আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করার কাজ শুরু করে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। সেই সঙ্গে চলে লাইন পরিষ্কারের কাজ। সোমবার দুপুরের মধ্যেই ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১১।