সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে দুই যুবকের বিরুদ্ধে। তাদের মারধর করে জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল নাবালিকার পরিবার ও গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে দুই যুবকের এক জনের। অন্য জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) গুমলা (Gumla) জেলার একটি গ্রামের। জানা গিয়েছে, পরিবারের সঙ্গে নাবালিকা পাশের গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিল। রাতে ফেরার সময় অভিযুক্তদের সঙ্গে দেখা হয় পরিবারটির। দুই যুবক যেহেতু একই গ্রামের বাসিন্দা, তাই তাদের বাইকে নাবালিকাকে বাড়ি পৌঁছে দিতে অনুরোধ করেন পরিবারের সদস্যরা। অভিযুক্তরা তাতে রাজি হয়। কিন্তু অভিযোগ, মাঝপথে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে ওই দুই যুবক।
[আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এগিয়ে কে? কী বলছে সংসদ এবং রাজ্য বিধানসভাগুলির অঙ্ক?]
মেয়েটি বাড়ি ফিরে পরিবারকে ঘটনার কথা জানায়। এরপরেই ক্ষেপে ওঠে পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা। সকলে মিলে এদিন দুই যুবকের পথ আটকায়। এরপর তাদেরকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পড়ে আহত দুই যুবকের গায়ে কেরোসিন ঢেলে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে গ্রামবাসীরা। এক যুবকের তাতেই মৃত্যু হয়। এরমধ্যে দুই যুবককে জীবন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে মারা হচ্ছে বলে খবর পায় স্থানীয় থানা। পুলিশকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। যদিও ততক্ষণে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ভয়ংকর ভাবে দগ্ধ অন্যজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের শরীরের একশ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল। অন্যজনের শরীরেরও অধিকাংশ অঙ্গ পুড়ে গিয়েছে। হাসপাতালে ভরতি করা হলেও তার অবস্থা ভাল নয়। দুই যুবককে পুড়িয়ে মারার চেষ্টায় কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গ্রামে।
[আরও পড়ুন: নবীকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যকারীদের ‘শিক্ষা’ দেওয়ার আশ্বাস ডোভালের, দাবি ইরানের]
গোটা দেশেই ধর্ষণের বাড়বাড়ন্ত চোখে পড়ার মতো। সম্প্রতি বিহারে এক নাবালিকাকে বাসের মধ্যে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তিনজনের বিরুদ্ধে। অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে বাসের মধ্যে থেকে উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় ২০১২ সালে দিল্লি গণধর্ষণের কথা মনে পড়ে অনেকের। তবে ধর্ষণের মতো ভয়ংকর অপরাধের পর আইন হাতে তুলে নেওয়ার ঘটনা সেখানে ঘটেনি। যদিও সেই প্রবণতাও ক্রমশ বাড়ছে। একধিক কারণে পুলিশের উপরে ভরসা কমছে সাধারণ নাগরিকের। ঝাড়খণ্ডের ঘটনা তার জলজ্যান্ত উদাহরণ।