সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টলিউডের রঙ্গমঞ্চে এখন রাজনীতির হাওয়া। শুধু রাজনীতির না বলে দলবদলের হাওয়া বললেও অত্যুক্তি হয় না। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের এক অনুষ্ঠানে একসঙ্গে দেখা গেল একঝাঁক টলি তারকাকে। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের (Prakash Javadekar) ডাকে সাড়া দিয়ে ন্যাশনাল ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, আবীর চট্টোপাধ্যায়, পাওলি দামের মতো টলিপাড়ার প্রথম সারির অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। যা রাজনৈতিক মহলে নতুন জল্পনার জন্ম দিয়েছে।
সোমবার কেন্দ্রীয় ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের তরফে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে কার্যত গোটা টলিউডকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে এদিন সন্ধে থেকেই দেখা যায় রীতিমতো চাঁদের হাঁট। একে একে হাজির হন ঋতুপর্ণা (Rituparna Sengupta), আবীর, পাওলিরা। ছিলেন অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়, মমতা শঙ্কর, প্রযোজক মহেন্দ্র সোনি, নিসপাল সিং রানে, পরিচালক অনীক দত্ত, অরিন্দম শীলদের মতো তারকারা। এছাড়াও যে সমস্ত তারকা ইতিমধ্যেই বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়েছেন, তাঁরা কমবেশি সকলেই এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তথাকথিত তৃণমূল ঘনিষ্ঠ তারকাদের অনেকেই এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। যারা সেভাবে শাসক বা বিরোধী কোনও শিবিরেরই অংশ নন, তাঁদেরও কেউ কেউ এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে শঙ্কুদেব পাণ্ডা, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, স্বপন দাশগুপ্ত, বাবুল সুপ্রিয়র মতো মার্কামারা বিজেপি নেতারাও হাজির ছিলেন ওই সরকারি অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠান শেষে কেন্দ্রীয় বাঙালি আবেগকে কাজে লাগাতে দাদাসাহেব ফালকের ধাঁচে সত্যজিত রায়ের নামে পৃথক চালুর কথাও ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক।
[আরও পড়ুন: পরিচালক অরিন্দম শীলের সঙ্গে ‘চায়ে পে চর্চা’ শঙ্কুদেব পণ্ডার, কথা ‘সোনার বাংলা’ নিয়ে]
সোমবারের এই বৈঠক সরকারি ব্যানারে আয়োজিত হলেও ভোটের মুখে তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। সম্প্রতি রুদ্রনীল (Rudranil Ghosh), যশ, হিরণ-সহ একাধিক কলাকুশলী যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। গেরুয়া শিবির ইতিমধ্যেই দাবি করেছে, টলিউডে তৃণমূলের যে একাধিপত্য ছিল, তা এখন আর নেই। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের ডাকা অনুষ্ঠানে প্রথম সারির টলি তারকাদের উপস্থিতি জল্পনার জন্ম দিচ্ছে বইকি। যদিও বাবুল সুপ্রিয় দাবি করেছেন, এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই। এটা সরকারি অনুষ্ঠান। আগামী দিনে বাংলা চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কী কী প্রয়োজন, সেসব নিয়েই বৈঠকে আলোচনা হবে।