রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: হাজার শলা-পরামর্শ, রুদ্ধদ্বার বৈঠক, দিল্লি থেকে ঘন ঘন শীর্ষ নেতাদের যাতায়াত - এত কিছুর পরও সুফল প্রায় শূন্য। চব্বিশের লোকসভা ভোটে যে টার্গেট নিয়ে এগিয়েছিল বঙ্গ বিজেপি, তার ছিটেফোঁটাও পূরণ হয়নি। উলটে চূড়ান্ত খারাপ ফলাফল হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। ৪২ আসনের মধ্যে মাত্র ১২টি আসন পেয়েছে বিজেপি। তার জন্য দলের একাংশ দায়ী করে 'নব্য' বিজেপিকে। এবার সেই দাবিতেই আগমী ১৭ জুলাই দলের একদা সদর দপ্তরের সামনে ধরনায় বসছেন বিজেপি বাঁচাও মঞ্চের শামসুর রহমান। আবার ওই দিন সায়েন্স সিটিতে দলের নির্বাচনী পর্যালোচনা বৈঠক, থাকবেন রাজনাথ সিং। একই দিনে 'আদি' বিজেপির ধরনায় আরও স্পষ্ট হল, বঙ্গ বিজেপি কতটা ছিন্নভিন্ন।
কী কারণে বাংলায় এত খারাপ ফলাফল হল, সেই পর্যালোচনা করতে ১৭ জুলাই সায়েন্স সিটিতে বৈঠকে বসছে বিজেপি (BJP)। তা বর্ধিত কর্মসমিতির বৈঠক। এতে উপস্থিত থাকার কথা সুনীল বনশল, মঙ্গল পাণ্ডে-সহ কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদেরও। আর এখানে থাকবেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং(Rajnath Singh)। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে, বিজেপির সংগঠনের হাল ফেরাতে দলের শীর্ষ নেতা রাজনাথ সিংকে বাংলায় (West Bengal)বিশেষ কোনও দায়িত্ব দিতে পারে দিল্লি। বুধবার সেই বৈঠকের দিনই আদি বিজেপি বসছে ধরনায়। মুরলিধর সেন লেনের কার্যালয়ের সামনে লাগাতার সত্যাগ্রহ ও আন্দোলন শুরু করবে বিজেপি বাঁচাও মঞ্চ।
[আরও পড়ুন: পুকুর বুজিয়ে প্রাসাদ, আড়িয়াদহর জয়ন্তর ‘কীর্তি’ জানতই না পুরসভা!]
তাদের তরফে প্রকাশিত আন্দোলনের পোস্টারে একাধিক ইস্যু তুলে ধরা হয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ দলের সমস্ত শীর্ষ পদাধিকারীর উপর দায় চাপানো হয়েছে। পোস্টারে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের খবরের কাটআউট তুলে ধরা হয়েছে। বিজেপি বাঁচাও মঞ্চের তরফে শামসুর রহমানের দাবি, যতক্ষণ না দলে 'শুদ্ধিকরণে' শীর্ষ নেতৃত্ব পদক্ষেপ নেয়, ততক্ষণ এই আন্দোলন চলবে।