কলহার মুখোপাধ্যায়: আন্তঃরাজ্য এটিএম (ATM) জালিয়াতির পর্দাফাঁস করল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। আসানসোল থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত ব্যক্তি প্রতারণা চক্রের মূল পাণ্ডা ছিল বলেই জানিয়েছে পুলিশ।
বাগুইআটির বাসিন্দা বাহাত্তর বছর বয়সি রমাপ্রসাদ চক্রবর্তীর অভিযোগের ভিত্তিতে এটিএম জালিয়াতি চক্রের পর্দাফাঁস হল। গত ২৩ মে সকালে কুণাল সরকার নামে জনৈক এক ব্যক্তি তাঁকে ফোন করে। কুণাল সরকার নিজেকে একটি রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের ম্যানেজার হিসাবে পরিচয় দেয়। KYC আপডেট করতে বলে। তবে জালিয়াতির বিষয়ে তৎপর থাকার জন্যে ওই বৃদ্ধ প্রথমে ফোনটি কেটে দেন। তার কিছুক্ষণ পর একটি SMS পান। তাতেই বুঝতে পারেন তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৫ হাজার ২৫ টাকা ডেবিট হয়ে গিয়েছে। টাকা ডেবিট হওয়ার কারণ জানতে ব্যাংক ম্যানেজার হিসেবে পরিচয় দেওয়া কুণাল সরকারকে ফোন করেন বৃদ্ধ। সেই সময় তাকে নিজের ডেবিট কার্ড নম্বর এবং একটি ওটিপি বলে দেন। পর মুহূর্তেই ব্যাংক থেকে ৩ লক্ষ ৪৯ হাজার ৫০০ টাকা উধাও হয়ে যায়। ইতিমধ্যেই মোবাইল সুইচড অফ করে দেয় কুণাল সরকার। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পারেন বৃদ্ধ। ২৪ মে বিধাননগর সাইবার ক্রাইমের দারস্থ হন।
[আরও পড়ুন: সিরিয়ালে সুযোগ দেওয়ার নামে সোদপুরের মডেলের অশালীন ছবি ফাঁস, গ্রেপ্তার মহিলা-সহ ২]
ঘটনার তদন্ত শুরু করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম শাখা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার রাতে আসানসোলে হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা রাজেশ কুমার মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই ব্যক্তি নিজেই নাম পরিবর্তন করে বৃদ্ধকে প্রতারিত করেছে বলে সাইবার ক্রাইম আধিকারিকদের প্রাথমিক অনুমান। শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত নয় বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকের ম্যানেজার পরিচয় দিয়েও এই চক্র প্রতারণা করত বলে পুলিশ সূত্রে খবর। অভিযুক্তের কাছ থেকে একটি ডেবিট কার্ড, একটি এলইডি টিভি উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃদ্ধের থেকে হাতানো টাকা দিয়েই আসানসোলের একটি দোকান থেকে টিভিটি কেনে অভিযুক্ত। রবিবার অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই চক্রের সঙ্গে আর কাদের যোগ রয়েছে সেই বিষয়েও তদন্ত করে দেখছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।