সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: রক্তের জন্য ক্রমশ অসুস্থ হয়ে পড়ছিল থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত বছর তেরোর নাবালিকা। একাধিকভাবে রক্ত জোগাড়ের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিল পরিবার। অবশেষে মুশকিল আসান করলেন সুন্দরবন জেলা পুলিশের কাকদ্বীপ থানার এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর। তাঁর রক্তেই ফের সুস্থতার পথে ওই নাবালিকা।
বুধবার কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় ভরতি করা হয়েছিল বছর তেরোর সঞ্জিতা পাত্রকে। সাগরের বাসিন্দা সঞ্জিতা থ্যালাসেমিয়ার রোগী। তার ‘ও-পজিটিভ’ রক্তের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু পরিবারের লোকজন বুধবার থেকে হাজার চেষ্টা করেও সেই রক্ত জোগাড় করতে পারেননি। এদিকে শিশুটি ক্রমেই রক্তের অভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে। বৃহস্পতিবার সকালে শিশুটির বাবা-মা কাকদ্বীপ থানার আইসি-র কাছে ছুটে যান। যেকোনওভাবেই তাঁদের ‘ও-পজিটিভ’ গ্রুপের একজন রক্তদাতা জোগাড় করে দেওয়ার জন্য তাঁরা পুলিশের কাছে অনুরোধ করতে থাকেন। সব শুনে থানায় কর্তব্যরত অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর শওকত আলি সাঁপুই আইসি-কে জানান, তাঁর রক্তের গ্রুপও ‘ও-পজিটিভ’। তিনি নিজেই ওই নাবালিকাকে রক্ত দিতে চান।
[আরও পড়ুন: গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ৩৪৪ জন, সংক্রমণের হারে বাড়ছে আতঙ্ক]
এরপর আর এক মুহূর্তও নষ্ট না করে নাবালিকার বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে কাকদ্বীপ হাসপাতালে ছুটে যান ওই পুলিশ আধিকারিক। সেখানেই ওই নাবালিকার জন্য রক্ত দেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এখন সুস্থ আছে সঞ্জিতা। নাবালিকার বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশীরা পুলিশের এই মানবিক কাজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এদিকে সুন্দরবন জেলা পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারিও ওই এএসআইয়ের ভূমিকায় আপ্লুত।
[আরও পড়ুন: বাঁকুড়া স্টেশনে থামবে না শ্রমিক স্পেশ্যাল, চলন্ত ট্রেন থেকে লাফিয়ে নামলেন পরিযায়ীরা]
The post শূন্য ব্লাড ব্যাংক, রক্ত দিয়ে থ্যালাসেমিয়া রোগীর প্রাণ বাঁচালেন পুলিশ আধিকারিক appeared first on Sangbad Pratidin.