সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটানা বৃষ্টিতে (Rain) বিপত্তি। ৯ নম্বর আহিরীটোলা লেনে ভেঙে পড়ল একটি দোতলা বাড়ি। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে যান এক শিশু-সহ চারজন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। দমকল এবং পুলিশকর্মীরাও খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলে উদ্ধারকাজ। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় মহিলাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তবে ৩ বছর বয়সি শিশুটি এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছে।
বুধবার ভোর চারটে নাগাদ দোতলা ওই বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে (Building Collapse)। ভিতরে ছিল দু’টি পরিবার। একটি পরিবারের সদস্যরা দেওয়ালে ছিদ্র তৈরি করে বেরিয়ে যায়। তবে আরেক পরিবারের গৃহকর্ত্রী ও শিশু আটকে পড়ে।
[আরও পড়ুন: কয়লা কাণ্ডে ধৃত লালা ঘনিষ্ঠ ৪ ব্যবসায়ীকে CBI হেফাজতের নির্দেশ দিল আসানসোলের বিশেষ আদালত]
শব্দ পেয়ে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয়রা। তাঁরাই দেখেন বাড়িটি ভেঙে পড়েছে। স্থানীয়রা খবর দেয় পুলিশে। তারপর ধীরে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দমকলও যায় ঘটনাস্থলে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় উদ্ধারকাজ। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় উদ্ধার হন ওই মহিলা। তবে ৩ বছর বয়সি শিশুটিকে এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ১১ সেপ্টেম্বরে বৃষ্টির জেরে বড়বাজারের বাবুলাল লেনে একটি বাড়ি ভেঙে পড়ে। তার আগে জুন মাসে শিয়ালদহের সুরেন্দ্রনাথ কলেজের পাশে একটি তিন তলা বাড়ি ভেঙে পড়ে। জখমও হন একডন। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের আহিরীটোলায় বিপত্তি। কলকাতা পুরসভার খতিয়ান অনুযায়ী প্রায় ৩ হাজার বিপজ্জনক বাড়ি রয়েছে। তবে আহিরীটোলা লেনের এই দোতলা বাড়িটি পুরনো হলেও সেই তালিকায় ছিল না। বাড়ির যথেষ্ট জীর্ণ দশা হওয়া সত্ত্বেও কেন বিপজ্জনক বাড়ির তালিকাভুক্ত ছিল না, সেই প্রশ্নই তুলছেন স্থানীয়রা। এদিকে, উত্তর কলকাতার পাশাপাশি চন্দ্রকোণাতেও বাড়ির দেওয়াল ভেঙে বিপত্তি। মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার।