সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের পুণেতে (Pune) করোনা (coronavirus) পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। হাসপাতালে মিলছে না বেড। এই অবস্থায় একাধিক হাসপাতালে ঘুরলেও ভরতি হতে পারেননি সেই মহিলা। অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন করোনা আক্রান্ত এক মহিলা। তাঁর স্বামী জানিয়েছেন, শেষের দিকে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন স্ত্রী। তার পরই এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে বসেন। পুণে পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করেছে।
পুণের ওয়ারজে এলাকার বাসিন্দা বছর একচল্লিশের ওই মহিলার সম্প্রতি শ্বাসকষ্ট এবং কাশি শুরু হয়। হাসপাতালে গিয়ে ১২ এপ্রিল করোনা পরীক্ষা করান। তাতে তাঁর রেজাল্ট পজিটিভ আসে। তাঁকে নিয়ে তাঁর স্বামী একের পর এক হাসপাতালে ঘুরতে থাকেন। কিন্তু কোথাও বেড পাননি তাঁরা। বারে বারে তাঁদের হতাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে।
মহিলার স্বামী বছর সাতচল্লিশের ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, স্ত্রীর রীতিমতো শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু হাসপাতালে হাসপাতালে গিয়ে সেকথা বলেও বেড পাওয়া যায়নি। ফলে দিন দিন মানসিক অবসাদে ঢুবে যান তাঁর স্ত্রী। তবে ওই ব্যক্তি দাবি করেন, তাঁর বিশ্বাস ছিল যে ভাবেই হোক স্ত্রীকে ঠিক বাঁচাবেন। কিন্তু বেড না পাওয়ায় মানসিক চাপ নিতে পারলেন না স্ত্রী।
[আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিক্ষোভ, পুলিশের গুলিতে ৫ শ্রমিকের মৃত্যু]
আজ শনিবার ওই মহিলা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে জানা গিয়েছে। যেহেতু হাসপাতালে ওই মহিলার করোনা পরীক্ষা হয়েছিল, তাই নিয়ম মেনে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করে পুণে পুরসভা। পুলিশ ‘অ্যাক্সিডেন্টাল ডেথ’-এর অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।
এদিকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে ওড়িশাতেও। কিন্তু বেশির ভাগ জায়গার মতো সেখানেও টিকার জোগান কম। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক দাবি করেছেন, সাধারণ মানুষের কাছে টিকা সহজলভ্য করতে খোলা বাজারে বিক্রির ব্যবস্থা করা হোক। এই দাবি জানিয়ে আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একটি চিঠিও লিখেছেন নবীন পট্টনায়েক।
.png)
