সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মন কি বাত’-এর (Mann Ki Baat) শততম পর্ব ঘিরে দেশজুড়ে উন্মাদনা লক্ষ করা গিয়েছে। অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয়েছে ১১টি বিদেশি ভাষায়। গত কয়েক দিন ধরেই প্রধানমন্ত্রীর রেডিও অনুষ্ঠান নিয়ে প্রচার রীতিমতো তুঙ্গে ছিল। এদিন শততম পর্বে বক্তব্য রাখার সময় মোদিও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন। এই পরিস্থিতিতে চর্চায় রয়েছে একটি রিপোর্টও। হরিয়ানার সংস্থা ‘ইনস্টিটিউট ফর কম্পিটিটিভনেস’ প্রকাশিত ওই রিপোর্টে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান খতিয়ে দেখে দাবি করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর মাসিক অনুষ্ঠান বিকাশের লক্ষ্যে এগিয়ে চলতে দেশের প্রয়াসকে বিশেষ ভাবে উৎসাহ দিতে সক্ষম হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ওই রিপোর্টে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের ৯৯টি পর্বের ভাষ্যের লেখ্য রূপ নিয়ে কাজ করা হয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২৩- প্রায় এক দশকে যা যা সম্প্রচারিত হয়েছে ওই অনুষ্ঠানে তা খতিয়ে দেখেই তৈরি করা হয়েছে রিপোর্টটি। দেখা গিয়েছে পরিচ্ছন্নতা ও শৌচ, স্বাস্থ্য, জল সংরক্ষণের মতো নানা বিষয় উঠে এসেছে এই অনুষ্ঠানে। পঞ্চায়েত নেতা থেকে নানা সাধারণ মানুষ কীভাবে দেশ ও দশের কাজে ব্রতী হয়েছেন তার ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণও রয়েছে। আর লাগাতার এই ধরনের প্রচারে উৎসাহিত হয়েছেন দেশের সাধারণ নাগরিকরা। নতুন ধরনের কাজে উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রেরণা পেয়েছেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: এমআরআই করাতে গিয়ে বিপত্তি, মৃত্যু ব্রেবোর্ন কলেজের ছাত্রীর]
এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে গত শুক্রবার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রসার ভারতীর সিইও গৌরব দ্বিবেদী ও ‘ইনস্টিটিউট ফর কম্পিটিটিভনেসে’র সিইও অমিত কাপুর। সেখানে গৌরব বারবার প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন। পাশাপাশি মোদির এই অনুষ্ঠান কীভাবে অসংখ্য ভারতীয়কে অনুপ্রাণিত করে চলেছে সেকথাও বলতে শোনা যায় তাঁকে।
প্রসঙ্গত, অনুষ্ঠানের শততম পর্বে আবেগ ঝরে পড়েছে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) কণ্ঠস্বরেও। এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ”আমার কাছে ‘মন কি বাত’ ঈশ্বররূপী জনতা জনার্দনের চরণে প্রসাদের থালার মতো। ‘মন কিবাত’ আমার মনের আধ্যাত্মিক যাত্রা। ‘মন কি বাত’ স্ব থেকে সমষ্টিতে যাত্রা। ‘মন কি বাত’ অহম থেকে বয়মের দিকে যাত্রা।”