সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ষষ্ঠদশ লোকসভার তিন বছর পার। এই সময়ে সংসদের নিম্মকক্ষে ৫৪২ জন সাংসদ কতটা দায়িত্ব পালন করলেন। মার্কশিট বলছে মাত্র ৭ জন সাংসদ প্রতিদিন লোকসভায় থেকেছেন। বিতর্কে অংশ নেওয়া বা প্রশ্নোত্তর পর্ব। সিংহভাগ সাংসদ এসব থেকে এড়িয়ে গিয়েছেন। তবে তথ্যে স্পষ্ট নবীন সাংসদদের থেকে প্রবীণরাই সংসদে অপেক্ষাকৃত সক্রিয়। বড় নয়, ছোট রাজ্যের সাংসদরা অনেক বেশি তাদের এলাকার বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন।
[চিনের রকেট হামলায় মৃত্যু ১৫৮ জন ভারতীয় সেনার!]
জুন, ২০১৪ থেকে এপ্রিল ২০১৭। প্রায় তিন বছরে লোকসভার অনেকগুলি অধিবেশন বসেছে। গোটা অধিবেশন মসৃণ হয়েছে এমন নজির হাতে গোনা। তার মধ্যেও সাংসদরা কীভাবে তাদের এলাকার কথা তুলে ধরলেন। ষষ্ঠদশ লোকসভার সাংসদের পারফরম্যান্স নিয়ে কাঁটাছেড়া করেছিল একটি সংস্থা। সেখানে পরিষ্কার ছবিটা আশাব্যঞ্জক নয়। এর মধ্যেও আশার আলো ভাইরোঁ প্রসাদ মিশ্রকে ঘিরে। উত্তরপ্রদেশের বান্দার এই বিজেপি সাংসদের হাজিরা ১০০ শতাংশ। উপস্থিতির পাশাপাশি সবথেকে বেশি বিতর্কে তিনি অংশ নিয়েছেন। ৬২ বছরের মিশ্র এবার প্রথম সাংসদ হন। কলেজের গণ্ডী পেরোননি। তবুও তিনি অনেক শিক্ষিত সাংসদকে পিছনে ফেলেছেন। উচ্ছ্বসিত মিশ্র বলছেন, যেভাবে তিনি সংসদে সক্রিয়, তেমনই নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে সময় দেন। মনোনীত সাংসদ জর্জ বেকারের উপস্থিতি ৯৮ শতাংশ। এরাজ্য থেকে উপস্থিতিতে সবার আগে তাপস মণ্ডল। রানাঘাটের তৃণমূল সাংসদ সংসদে ৯০ ভাগ সময়ে থেকেছেন। তবে তৃণমূলের তারকা সাংসদ দেবের উপস্থিতি মাত্র ৯ শতাংশ। দেবের মতো পিছনের সারিতে রয়েছেন বেশ কিছু সাংসদ। ৬৩ বছরের গোপাল চিনায়া শেট্টি সফল সাংসদ। মুম্বই উত্তরের সাংসদ তাঁর ২৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে মাত্র দু দিন ছুটি নিয়েছেন। পরিসংখ্যান বলছে মণিপুর, মিজোরাম, হিমাচল প্রদেশের মতো ছোট রাজ্যগুলির সাংসদের উপস্থিতি ঈর্ষণীয়। এর থেকে বোঝা যায় দূরত্ব বা যোগাযোগ গরহাজিরার একমাত্র কারণ নয়।
[মানসিক রোগীকে পিটিয়ে ‘খুন’, গ্রেপ্তার সল্টলেকের চিকিৎসক]
উপস্থিতির পাশাপাশি বিতর্ক এবং প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেওয়া ভাল পারফরম্যান্সের মাপকাঠি। দেখা যাচ্ছে ত্রিপুরা, কেরল এবং রাজস্থানের সাংসদরা সবথেকে বেশি বিতর্কে অংশ নিয়েছেন। প্রাইভেট বিল আনার ক্ষেত্রে এগিয়ে দিল্লি, অরুণাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং ঝাড়খণ্ডের জনপ্রতিনিধিরা। অন্যদিকে, ১৪টি রাজ্যের সাংসদরা এসবের ধারেকাছে যাননি। দলগুলির নিরিখে বিজেপি সাংসদদের উপস্থিতি সবথেকে বেশি। তারপর এলজেপি, বিজেডি এবং সিপিআইএম। হাজিরার ক্ষেত্রে পিছনের সারিতে আপ, টিআরএস, ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস। সবথেকে বেশি বিতর্কে অংশ নিয়েছে আরজেডি এবং সিপিএম। প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে সবার আগে শিবসেনা এবং এনসিপি। প্রশ্ন উত্থাপনে শরদ পাওয়ারের কন্যা সুপ্রিয়া সুলে এক নম্বরে। অভিজ্ঞতা যে এখনও তফাত গড়ে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন সাংসদরা। ৭০ বছর বা তার বেশি বয়স্ক কিছু সাংসদ নবীনদের অনেক ক্ষেত্রে পিছনে ফেলেছেন। বর্তমান লোকসভায় মাত্র ১০ শতাংশ মহিলা সাংসদ। পরিসংখ্যান বলছে সংখ্যায় কম হলেও সক্রিয়তায় মহিলারা কম যান না।
The post ষষ্ঠদশ লোকসভার ৩ বছর পার, কেমন হল সাংসদদের মার্কশিট? appeared first on Sangbad Pratidin.