শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: ধর্ষণ করে খুন নাকি শুধু খুন? কী কারণেই বা খুন করা হল কিশোরীকে? জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে নিখোঁজ কিশোরীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় নানা প্রশ্নের ভিড়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের সাহায্যেই ঘটনার জট খুলতে পারে বলেই আশা তদন্তকারীদের।
নিহত ওই কিশোরী জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের সন্ন্যাসীকাটা গ্রামপঞ্চায়েতের বালুবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। গত ১০ আগস্ট নিখোঁজ হয় যায় সে। খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তবে ওইদিন তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরেরদিনই রাজগঞ্জ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। তারপরেও কিশোরীর আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। বেশ কয়েকদিন পর রাজগঞ্জের প্রধানপাড়া এলাকায় একটি সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে কিশোরীর নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাকে। এমনকী অভিযুক্তদের দেহ লোপাটের পরিকল্পনাও ছিল। তাই তার দেহ সেপটিক ট্যাঙ্কের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: বোলপুরের তৃণমূল নেতাকে খুনের অভিযোগ, পুলিশের জালে বিধায়ক মনিরুল ইসলামের দাদা]
কিন্তু কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত? পুলিশ সূত্রে খবর, একটি মোবাইলের কললিস্ট খতিয়ে দেখা হয়। ওই কললিস্ট খতিয়ে দেখার পর এক যুবককে জেরা করা হয়। তার বয়ানের ভিত্তিতেই আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তারা ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণের পর খুন করে নাকি শুধু খুন করা হয়েছে তাকে, সে বিষয়ে কোনও তথ্য এখনও জোগাড় করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, এই ঘটনার পরই নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বিধায়ক খগেশ্বর রায়। জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের নিহত ওই কিশোরীর পরিজনদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভও দেখান নেতাকর্মীরা। অভিযুক্তের ফাঁসির দাবিতে সরব তৃণমূল। তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকের বদলির দাবি জানান বিধায়ক খগেশ্বর রায়।
[আরও পড়ুন: দুটো রিপোর্টই পজিটিভ, ‘অবসাদে’ হাসপাতালে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী করোনা রোগী]
The post ধর্ষণ করে খুন? সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে নিখোঁজ কিশোরীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা appeared first on Sangbad Pratidin.