সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অশ্লীল ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি আগেই এসেছিল। মেয়ের সম্ভ্রম নিয়ে প্রশ্ন। তাই হুমকিকে বেশ গুরুত্ব দিয়েই দেখেছিলেন ছাত্রীর পরিজনেরা। ছুটে গিয়েছিলেন থানায়। জানাতে চেয়েছিলেন অভিযোগ। তবে পুলিশের তরফে কোনও সহযোগিতা করা হয়নি বলেই দাবি ছাত্রীর পরিজনদের। আর অশ্লীল ছবি ভাইরাল হওয়ার লজ্জায় আত্মহত্যার পথই বেছে নিল কিশোরী। এই ঘটনায় রীতিমতো উত্তাল উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগর।
পরিবার সূত্রে খবর, একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীর হোয়াটসঅ্যাপে বেশ কয়েকটি ছবি আসে। তা দেখেই অবাক হয়ে যায় সে। ছাত্রীর পরিবারের দাবি, নগ্ন ওই ছবিগুলিতে সুপার ইম্পোজ করে বসানো হয়েছিল কিশোরীর মুখ। শুধু হোয়াটসঅ্যাপই নয়। মুহূর্তের মধ্যে ওই ছবিগুলি সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছড়িয়ে দেওয়া হয়। পরিচিত অনেকে নাকি এ বিষয়ে প্রশ্নও করে কিশোরী ও তাঁর পরিজনদের। এরপর একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। লজ্জায় চরম সিদ্ধান্ত নেয় ছাত্রী। আত্মঘাতী হয় সে।
[আরও পড়ুন: ‘যে কেন্দ্রেই দাঁড়াবেন, হারিয়ে দেব’, বারাসতে দাঁড়িয়ে জ্যোতিপ্রিয়কে খোলা চ্যালেঞ্জ দিলীপের]
বাড়ি থেকে ছাত্রীর নিথর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। ছাত্রীর দেহ আটকে রেখে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। পুলিশ সময়মতো ব্যবস্থা নিলে এমন মর্মান্তিক কাণ্ড ঘটত না বলেই দাবি ছাত্রীর পরিজন ও প্রতিবেশীরা। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে বিক্ষোভ। যদিও পরে যদিও পুলিশি আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে এখনও অভিযুক্তদের কেউই গ্রেপ্তার হয়নি।