বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: প্রণয়ঘটিত কারণের জের। কিশোরীর উপর অ্যাসিড হামলার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের (Krishnanagar) ঘূর্ণির ঘরামি পাড়ায়। আক্রান্ত ওই কিশোরীর শারীরিক অবস্থা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক। তাকে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত যুবক পলাতক। কোতয়ালি থানার পুলিশ তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।
বুধবার সন্ধেয় ঘূর্ণির ঘরামী পাড়ার বাসিন্দা দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী টিউশন পড়ে বাড়ি ফিরছিল। অভিযোগ, ফেরার পথে ওই এলাকারই বাসিন্দা অচিন্ত্য শিকারি নামে এক যুবক তাকে তাড়া করে। ছাত্রীটি আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। দৌড়ে গিয়ে স্থানীয় একটি ক্লাবে ঢুকে পড়ে সে। ওই যুবক ক্লাব ঘরের ভিতরে ঢুকে ছাত্রীর মুখে অ্যাসিড ঢেলে দেয়। সেই সময়ে ক্লাবে স্থানীয় কয়েকজন যুবক উপস্থিত ছিল। অ্যাসিড হামলায় (Acid Attack) তাঁরাও আহত হন। বিষয়টি জানাজানি হতেই স্থানীয় বাসিন্দারা আক্রান্ত ছাত্রী-সহ আহত যুবকদের উদ্ধার করেন। শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় ছাত্রীটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তাকে কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনায় আহত বাকি যুবকেরা বর্তমানে শক্তিনগর হাসপাতালে ভরতি। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত অচিন্ত্য শিকারি। আক্রান্ত ছাত্রীর পরিবারের তরফে অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবকের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
[আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে পুকুর থেকে উদ্ধার ৩ নাবালিকার দেহ, মৃত্যুর কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা]
ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে ওই ছাত্রীকে প্রায় জোর করে বিয়ে করে অচিন্ত্য। মাসকয়েক সংসারও করে দু’জনে। তারপর বাপের বাড়িতে চলে আসে ওই ছাত্রী। কিশোরীকে বাপের বাড়িতে রেখে ভিন দেশে কাজে চলে যায় অচিন্ত্য। ইতিমধ্যে দু’জনের ফোনে যোগাযোগ ছিল। তবে ছাত্রীর সঙ্গে প্রায়শই অশান্তি হয় যুবকের। সম্পর্ক আর রাখবে না বলেই স্থির করে ছাত্রী। ভিনদেশ থেকে ফিরে আসার পর সালিশি সভা বসে। তাতে ছাত্রী তার সিদ্ধান্তের কথা জানায়। ওই যুবকও ছাত্রীর কথা মেনে নেয়। তবে মন থেকে সে ছাত্রীর সিদ্ধান্ত মানেনি বলেই দাবি ছাত্রীর পরিবারের। সে কারণেই প্রতিশোধ নিতে অ্যাসিড হামলা বলেই দাবি নির্যাতিতার পরিবারের।