মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ২০৫/৫ (তিলক ৫৯, রিকেলটন ৪১, সূর্যকুমার ৪০, নমন ৩৮, কুলদীপ ২৩/২)
দিল্লি ডেয়ার ডেভিল: ১৯৩/১০ (করুণ ৮৯, পোড়েল ৩৩, করন শর্মা ৩৬/৩)

১২ রানে জিতল মুম্বই।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে সাবালক (১৮তম) আইপিএলে দিল্লির অপরাজিত তকমা ঘুচল। রাজধানীর অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে নাটকীয় ভঙ্গিতে জয়ে ফিরল মুম্বই। ব্যর্থ হল করুণ নায়ারের দুর্দান্ত লড়াই। প্রত্যাবর্তনের মঞ্চে ৪০ বলে ৮৯ রান করেও নিজের দলকে জেতাতে পারলেন না তিনি। বরং তিলক বর্মা (৫৯), রিয়ান রিকেলটন (৪১) এবং নমন ধীরের (৩৮) যৌথ উদ্যোগ এবং শেষ পাতে করন শর্মার উদ্বুদ্ধ বোলিং জয়ের সরণিতে ফেরাল হার্দিক পাণ্ডিয়ার দলকে। সম্ভবত প্রয়োজনের সময় কেএল রাহুলের দ্রুত ফিরে যাওয়াই কাল হয়ে দাঁড়াল দিল্লির জন্য।
রাজধানীর অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে নামে মুম্বই। যদিও রান পাননি দিল্লির দুই তারকা ব্যাটার রোহিত শর্মা (১৮) এবং হার্দিক পাণ্ড্য (২)। এর পরেও স্কোরবোর্ডে দুশো ডিঙিয়েছে দলটি। নেপথ্যে ওপেনার রিয়ান রিকেলটন। রোহিত, হার্দিকের মতো বড় উইকেটের পতন হলেও ২৫ বলে ৪১ রান করেন রিকেলটন। এরপর নিজেদের দায়িত্ব পালন করেন যথাক্রমে সূর্যকুমার যাদব (২৮ বলে ৪০ রান), তিলক বর্মা (৩৩ বলে ৫৯ রান) এবং নমন ধীর (১৭ বলে ৩৮ রান)। সব মিলিয়ে ২০ ওভার শেষে ২০৫ রান তোলে মুম্বই।
দিল্লি এই ম্যাচ হারলেও লড়াকু প্রত্যাবর্তনের কাহিনি লিখলেন করুন নায়ার। আইপিএলে শেষ বার অর্ধশতরান করেছিলেন ২০১৮ সালে। সাত বছর পর ৫০ রানের গণ্ডি পার করলেন তিনি। বুঝিয়ে দিলেন বিজয় হাজারের ফর্ম ফ্লুক ছিল না। মূলত তাঁর অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ফর্মে ভর দিয়েই তো ফাইনালে উঠেছিল বিদর্ভ। এদিন বারোটি চার ছয়টা ছক্কার দৌলতে ৪০ বলে ৮৯ রানে করেন। করুণ ভারতের হয়ে শেষ বার খেলেছিলেন ২০১৭ সালে। ফের জাতীয় দলের জার্সি পরার স্বপ্ন দেখেন কি? যদিও এদিন মুম্বইকে হারানোর স্বপ্ন ভঙ্গ হল তিনি স্টেডিয়ামে ফিরে জেতেই। এরপর রেলগাড়ির মতো উইকেট পড়ল দিল্লির। অভিষেক পোড়েল (৩৩) ছাড়া কেউ ভরসা জাগাতে পারলেন না। কে এল রাহুল ১৫ রানে ফিরে গেলেন, শেষের দিকে দুয়ের ঘরের রান পৌঁছান বিপরাজ নিগম (১৪)। ১৯ ওভারে ১৯৩ রানে অল আউট হয়ে যায় দিল্লি। ফলে ১২ রানে ম্যাচ জিতে নেয় মুম্বই।