শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে ৩ দিন ধরে নিখোঁজ। অবশেষে উদ্ধার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর দেহ। ঘটনার নেপথ্যে পারিবারিক অশান্তি নাকি অন্য কোনও কিছু, তা জানার চেষ্টায় পুলিশ।
মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির কান্তনগরের বাসিন্দা দীপঙ্কর মণ্ডল। এবছর মাধ্যমিক দিয়েছে সে। পরীক্ষার পর উপার্জনের তাগিদে বাবা অশোক মণ্ডল তাকে একটি টোটো কিনে দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, গত রবিবার দুপুরে দুই যুবক দীপঙ্করকে ফোন করে। জানায়, তার টোটোয় করে কুমড়ো নিয়ে যেতে হবে। সেই জন্য রঘুাথগঞ্জ আইলের উপর ডেকে পাঠায় ছাত্রকে। সেই যে বাড়ি থেকে বের হয়, এরপর আর ফেরেনি দীপঙ্কর। পরিবারের লোকেরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিলেও কোনও লাভ হয়নি। অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা। সাগরদিঘি ও রঘুনাথগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
[আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহের মাঝেই সুখবর, সপ্তাহান্তেই স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজবে বাংলার এই জেলাগুলি]
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। মোবাইল টাওয়ার লোকেশন খতিয়ে দেখে জানতে পারে শেষ রঘুাথগঞ্জ আইলের উপর ছিল দীপঙ্কর। এরপর তারা দেখে ওই এলাকায় আর কে কে ছিল একই সময়। এরপরই তিনজনের খোঁজ পায় পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় তাদের মধ্যে দুজনকে। এরপরই প্রকাশ্যে আসে গোটা বিষয়টা। পুলিশের দাবি, ধৃতেরা খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। ধৃতদের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার ভোরে উদ্ধার করা হয় দীপঙ্করের দেহ। তবে খুনের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা। মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, এক আত্মীয়ের সঙ্গে জমি নিয়ে অশান্তি চলছিল, ফলত সেই কারণে এই খুনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।