সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার তামিলনাড়ুতে (Tamilnadu) মর্মান্তিক অনার কিলিং-এর (Honour Killing) ঘটনা। পরিবারের আপত্তি থাকলেও সম্প্রতি বিয়ে করেছিলেন যুবক-যুবতী। এদিন তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মেয়ের বাবার বিরুদ্ধে ওই দম্পতিকে খুনের অভিযোগ ওঠে। যদিও পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে অভিযুক্ত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি থোথুকুডি (Thoothukudi) জেলার তুতিকোরিন (Tuticorin) শহর লাগোয়া একটি এলাকার। যুবক ও যুবতী উভয়েই একই গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। উভয়ই তফসিল সম্প্রদায়ের মানুষ। যুবতী কলেজ ছাত্রী, যুবক স্কুল পর্যন্ত পড়াশোনা করে ছেড়ে দিয়ে কাজে যোগ দেন। উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি তাঁরা বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হন। যদিও প্রথম থেকেই এই বিয়েতে আপত্তি ছিল মেয়ের বাবার।
[আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির মাধ্যমে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছে মোদি সরকার, নতুন রাষ্ট্রপতিকে নালিশ বিরোধীদের]
পুলিশ জানিয়েছে, বিয়ের কিছুদিন পরেই মেয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছে বলে মাদুরাই (Madurai) থানায় ডায়রি করে বাবা। এরপর দম্পতির সঙ্গে যোগযোগ করেছিল পুলিশ। থানায় ডেকে তাঁদের সঙ্গে কথা বলা হয়। যদিও তাঁরা জানিয়ে দিয়েছিলেন, দু’ জনেই প্রাপ্তবয়স্ক এবং স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছেন। পুলিশের তরফে দম্পতির বক্তব্য জানিয়ে দেওয়া হয় পরিবার ও মেয়ের বাবাকে।
এরপরেও অশান্তি ছিল। তবে গ্রামের প্রবীণরা মতামত দেন, দম্পতিকে যেন আর বিরক্ত না করে মেয়ের পরিবার। উল্লেখ্য, গ্রামেই একটি বাড়িতে ভাড়া থাকছিলেন সদ্য বিবাহিত দম্পতি। এদিন সেই ভাড়া বাড়ি থেকেই যুবক ও যুবতীর দেহ উদ্ধার হয়। তাঁদের খুন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মেয়ে-জামাইকে খুনে অভিযুক্ত বাবা। পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়ার আগে অভিযুক্ত স্থানীয় থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে।
[আরও পড়ুন: ইডির ‘অপব্যবহার’ নিয়ে সংসদে কংগ্রেসের বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে আটক রাহুল-সহ অনেকে]
এক পুলিশ আধিকারিকের বক্তব্য, “কলেজ পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে স্কুল পাশ ছেলের বিয়ে নিয়ে আপত্তি ছিল বাবার। যদিও বাবার কথা শোনেননি মেয়ে, বরং পছন্দের পাত্রকেই বিয়ে করেন তিনি। সেই কারণেই তাঁকে ও তাঁর স্বামীকে খুন করা হত হল বলে মনে করা হচ্ছে।”
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গোটা দেশেই বাড়ছে অনার কিলিং-এর ঘটনা। পরিবারের ‘সম্মান’ রক্ষার্থে আপনজনকে হত্যা করতে পিছপা হচ্ছে না মানুষ। গত মাসে বিহারে (Bihar) জামাইকে গুলি করে খুন করে শ্বশুর। জামাইবাবুকে খুন করতে বাবাকে সাহায্য করে ছেলে। খুনের ভয়ংকর ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তদের।